লালুপ্রসাদ বক্তা, অথচ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে হাসিঠাট্টা, মজা মস্করা করবেন না, এমনটা সচরাচর হয় না। শুক্রবার মুম্বইয়ে বিরোধীদের তৃতীয় বৈঠকও তার ব্যতিক্রম ছিল না।
কিডনি প্রতিস্থাপন করিয়ে আসার পর ধীরে ধীরে রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন বিহারের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক শুরুর দু’দিন আগে মেডিক্যাল চেকআপ করাতে বাণিজ্য নগরীতে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিহারের এই নেতা। মাইক ধরে নিজের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়েও দু-চার কথা বলেন। সবাইকে তাঁর সিঙ্গাপুরবাসী ছোট মেয়ের অবদানের কথা জানান।
বলেন, মেয়ে আমাকে কিডনি দিয়ে নতুন জীবন দান করেছে। শুধু কিডনি অপারেশন নয়, আমার শরীর বহুবার কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আমি মরিনি। বেঁচে আছি। যতদিন প্রাণ আছে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব। আবার পরক্ষণেই মজার ছলে বলেন, ইসরোর বিজ্ঞানীদের বলছি, মোদীজিকে সূর্যে পৌঁছে দিন।
স্বভাবসিদ্ধভঙ্গিতে শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেন। স্মরণ করিয়ে দেন মোদী কীভাবে দেশবাসীকে ঠকিয়েছেন। এই ব্যাপারে বেশ মজা করে তুলে ধরেন ২০১৪-র লোকসভা ভোটের আগে দেওয়া বিজেপির প্রতিশ্রুতির কথা। লালুপ্রসাদ বলেন, তখন বলা হয়েছিল অবিজেপি নেতারা সুইস ব্যাঙ্কে কালো টাকা জমা রেখেছেন। মোদী ক্ষমতায় এলে সকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
বিহারের নেতা এরপর হাস্যচ্ছলে বলেন, তখন দেশের গরিব মানুষ দলে দলে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে ছোটেন। আমরা স্বামী-স্ত্রী এবং সন্তানেরা মিলে পরিবারের ১১জন। দেখলাম ১১জন ১৫ লাখ করে পেলে তো অনেক টাকা। আমরাও অ্যাকাউন্ট খুলে ফেললাম। এইভাবে মোদীজি আমাকেও ঠকিয়েছেন।