ঠাণ্ডা লড়াইয়ের জল্পনা চলছিলই। এবার ফের বিজেপির দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারর বাকযুদ্ধের খবর প্রকাশ্যে চলে এল। তাও খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে! যা নিয়ে অস্বস্তিতে প্রবল অস্বস্তিতে গেরুয়া-নেতৃত্ব। বঙ্গ বিজেপির আভ্যন্তরীণ কোন্দল যদিও নতুন কিছু নয়। প্রায় প্রতিদিনই দলের অন্দরের মতানৈক্য প্রকাশ্যে চলে আসছে। সম্প্রতি বহু জায়গায় বিজেপির জেলা সভাপতি এবং মণ্ডল সভাপতি পদে রদবদল হয়েছে। তাতে অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিজেপির অন্দরে এখন চলছে দ্বন্দ্ব। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা বন্দরের গেস্ট হাউসে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য এসেছিলেন। সেখানে আগে বৈঠক করতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে আসেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে একটি নামের তালিকা দেন শুভেন্দু। তাতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন সুকান্ত। তখন সুকান্ত ওই বৈঠকে বলে ওঠেন, “দলের তো একটা সিস্টেম আছে। এভাবে আলাদা করে নামের তালিকা দিলে হয় নাকি!”
এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনেই তখন শুভেন্দু সরাসরি সুকান্তকে তোপ দাগেন। শুভেন্দুর কথায়, “আপনারা যোগ্য নাম দেন না বলেই আমাকে আলাদা করে দিতে হয়।” পাল্টা সুকান্ত বলেন, “আপনি যাদের নাম দেন তাদের কে, কবে বিজেপিতে এসেছে কেউ জানে না। প্রকৃত বিজেপি কর্মীদের বাদ দিয়ে আপনি উল্টোপাল্টা নাম ঢোকান।” এই দেখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শুভেন্দুকে বলেন, বিজেপিতে নিয়ম মেনেই চলতে হবে। এই বলে তিনি শুভেন্দুর কাগজ আর নেননি। ফিরিয়ে দেন। স্বাভাবিকভাবেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন শুভেন্দু। এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলনে নেমে পড়ে বিজেপির যুব মোর্চা। সুকান্ত-শুভেন্দুর বিরোধ সেখানে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এই ঘটনার প্রতিবাদে মহামিছিলের ডাক দেয় বিজেপির যুব মোর্চা। গোলপার্ক থেকে ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত শুক্রবার যে মিছিল হয় সেখানে শুধু শুভেন্দু অধিকারীকেই দেখা যায়। একবারও সেখানে পা রাখেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।