গত ২৩ অগস্ট সন্ধ্যায় চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। এই ঐতিহাসিক সাফল্যের পেছনে রয়েছে ইসরোর বহু বিজ্ঞানীর অবদান। তাঁদের মধ্যে অন্যতম উত্তর ২৪ পরগণার পানিহাটির বাসিন্দা রাজীব সাহা। তিনি বিক্রমের রকেট প্রস্তুতকারী হিসাবে কাজ করেছেন।
চন্দ্র জয়ের পর সম্প্রতি রাজীব সাহা তাঁর স্কুল উসুমপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে যান। চন্দ্রযান সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নেন তিনি। কৃতি প্রাক্তনীকে কাছে পেয়ে উচ্ছ্বাসে বিহ্বল হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। কীভাবে তিনি ইসরোয় নিজের জায়গা তৈরি করে নেন, তাও নিজের স্কুলের বর্তমান পড়ুয়াদের সঙ্গে ভাগ করে নেন রাজীব।
ইসরোর কৃতী বিজ্ঞানী জানান, পরিবারে অর্থনৈতিক সংকট ছিল প্রবল। মাধ্যমিকের পরে তা আরও জটিল হয়ে যায়। সেই সময়ে পড়াশোনা দূর, সংসারও ঠিকমতো চলত না। আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল, তাঁকে সংসার চালাতে বেলঘড়িয়ার সরস্বতী প্রেসে কাজে ঢুকতে হয়েছিল। তার পাশেই চলত পড়াশুনা।
উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর রাজ্য সরকারের জিলেট পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন রাজীব সাহা। তারপরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কৃতী এই পড়ুয়াকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। ২০১৭ সালে গেট পরীক্ষায় অসামান্য ফলের পর পড়াশুনার সুযোগ মেলে আইআইটিতে।
এরপরই আগ্রহবশত ইসরোর পরীক্ষা দিয়েছিলেন রাজীব। সেখানে তার র্যাংক হয় অল ইন্ডিয়ায় ২১। চন্দ্রযান-৩ যে রকেটের দ্বারা উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল, সেই রকেট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল রাজীব সাহার।