২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কারচুপি হয়েছিল? তার ফলেই কি বিপুল জয় গেরুয়া শিবিরের? এমন বিতর্কই উসকে দিয়েছে হরিয়ানার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাঞ্চল্যকর গবেষণাপত্র। যেখানে দাবি করা হয়েছে, ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোট গণনায় অনিয়ম হয়েছে।
চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে এমন দাবিতে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী শিবিরে। একদল যেমন এই গবেষণাকে গুরুত্বহীন বলে দাবি করেছেন, তেমনই আরেক পক্ষের মন্তব্য, ‘অস্বস্তিকর সত্য’ প্রকাশ্যে এসেছে। জবাব দিক নির্বাচন কমিশন এবং কে্ন্দ্র।
অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সব্যসাচী দাসের নেতৃত্ব প্রকাশিত গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের পিছু হটা’। গবেষণাপত্রের সারসংক্ষেপ সোমবার সমাজাকিমাধ্যমে পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ভোটে কারচুপি হয়েছে কি না প্রমাণ-সহ তা খতিয়ে দেখা হয়েছে এই গবেষণায়।
দাবি করা হয়েছে, যেখানেই দুই দলের প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সেখানেই গণনার সময় দুর্নীতি হয়েছে। কারচুপির অন্যতম লক্ষ্য ছিল সংখ্যালঘু ভোটাররা। তাঁরা নির্বাচনী বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। নির্বাচনী আধিকারিকদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এই কাজ হয়েছে। যা গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য উদ্বেগজনক।
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর টুইট করেছেন, গবেষণায় যা বলা হয়েছে তা চিন্তার উদ্রেককারী। এর উত্তর দেওয়া উচিত জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং ভারত সরকারের।