গত বৃহস্পতিবার সুরাতের আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়। আর শাস্তি হওয়ার পরই ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই খারিজ হয়ে যায় তাঁর সাংসদ পদ। যা নিয়ে এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে শোরগোল চলছে। এই আবহেই এবার এমপি-এমএলএ’দের বিরুদ্ধে মামলার রায়দানে নিম্ন আদালতের বিচারকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
বৃহস্পতিবার একটি মামলায় বিচারপতি কেএম জোসেফ এবং বিচারপতি বিবি নাগরত্নার বেঞ্চ তাদের পর্যবেক্ষণে বলে, যেহেতু দু বছর বা তার বেশি সাজা হলে এমপি-এমএলএ’দের সদস্যপদ তৎক্ষণাৎ চলে যায় তাই সাজা ঘোষণার সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে বিচারকদের।
রাহুল গান্ধীর সাজার পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চের এই পর্যবেক্ষণকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছে রাজনৈতিক এবং আইনজ্ঞ মহল। রাহুল এক দুদিনের মধ্যেই উচ্চ আদালতে সুরাতের নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাবেন। রাহুলের মামলায় কংগ্রেসের পাশাপাশি আইনজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন, কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগের সাজা দু বছর জেল হতে পারে না।
সুপ্রিম কোর্টে বৃহস্পতিবারের মামলাটি ছিল লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ মহম্মদ ফৈজলের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে। খুনের চেষ্টার অভিযোগের মামলায় তাঁকে ১০ বছর জেলের সাজা দিয়েছিল নিম্ন আদালত। ফলে তৎক্ষণাৎ তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগটাই ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দিয়েছে।