বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন রেড রোডে ধর্ণায় বসেছেন। বাংলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদে দু’দিনের ধর্ণা চলছে। কিন্তু গ্রামবাংলার মানুষজন তাঁর ফোন পাচ্ছেন। আর তাঁর কন্ঠস্বর শুনে গ্রামবাংলার মানুষজন বেজায় খুশি। কারণ তাঁরা অনেকেই একটা খবর জানতেন না। যা ফোন করে জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সাড়া পড়েছে গ্রামীণ মানুষজনের মধ্যে। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে সে কথা শুনে তাঁরাই বাকিদের ফোন পাওয়ার কথা জিজ্ঞাসা করছেন।
অন্নপূর্ণা পুজো এবং রমজান মাসের শুভেচ্ছা জানিয়ে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে অংশ নিতে ফোন আসছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সরাসরি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের অডিয়ো বার্তা পেয়ে আপ্লুত গ্রামবাংলার মানুষ। এখনও অনেকের বাড়িতে টিভি নেই। তাই খবরটা সেভাবে জানতেন না। ফোনে এভাবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ব্যাপারে জানতে পেরে খুশি তাঁরা। মার্চ মাস পেরোলেই রাজ্যে শুরু হবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। যার প্রভাব সরাসরি পড়বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। এবার বহু সামাজিক প্রকল্প থাকছে বলে খবর।
তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের সাহায্যে একাধিক জনমুখী প্রকল্প চালু করেন। দুয়ারে সরকার থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই ‘দিদি’র সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য রাজ্যের মানুষ বরাবরই উৎসুক। তাঁর জন্য সরাসরি ‘দিদিকে বলো’ কমসূচি হয়েছে। এখন চলছে ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’। দিদির দূত হয়ে মানুষের কাছে গিয়ে অভাব–অভিযোগ শুনছেন জনপ্রতিনিধিরা। চটজলদি সমাধানও হচ্ছে। তারই মধ্যে ১ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আবার শুরু হচ্ছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। এবার সেই কর্মসূচিতে যোগ নিতে সাধারণ মানুষকে সরাসরি ফোন করছেন ‘মুখ্যমন্ত্রী’। যা আগে কখনও ঘটেনি।
ওই ফোনে বলা হচ্ছে, ‘আপনাদের সকলকে অন্নপূর্ণা পুজো ও রমজান মাসের শুভেচ্ছা। আশা করি সকলে ভাল আছেন। প্রত্যেকটি মানুষ যাতে আমাদের মা, মাটি, মানুষের সরকারের পরিষেবা হাতের নাগালে পান তাই আমাদের সরকার ১ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দুয়ারে সরকার কর্মসূচি শুরু করেছে। আপনারা পরিষেবা পেতে নিকটবর্তী ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করুন’।