২০১৮ সালে ভারত ছেড়ে পালিয়ে অ্যান্টিগা ও বারবুডায় পালিয়ে যান মেহুল চোকসি। তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে ১৩ হাজার কোটির ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। পরে জানা যায়, অ্যান্টিগার নাগরিকত্ব নিয়ে সেই দ্বীপেই আস্তানা গেড়েছেন চোকসি। এই ঘটনার প্রায় ১০ মাস পরে চোকসিকে লাল তালিকাভুক্ত করে ইন্টারপোল। সোমবার তাঁকে ওয়ান্টেড তালিকা থেকে সরিয়ে দেয় ইন্টারপোল। ভারতে নিয়ে গেলে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আবেদন জানিয়েছিলেন চোকসি। সেই বিষয়টিও মেনে নিয়েছে ইন্টারপোলের বিশেষ আদালত। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পলাতক এই ধনকুবেরকে দেশে ফেরানো আর সম্ভব নয়? ব্যাঙ্কের টাকা হাতিয়ে বাকি জীবন নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দেবেন তিনি?
এ বিষয়ে মুখ খোলেনি সিবিআই-ইডি। তবে এ সংক্রান্ত এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনল সংবাদ সংস্থা এএনআই। সংবাদ সংস্থাটির দাবি, ওয়াকিবহাল মহল জানিয়েছে, ইন্টারপোলের লাল তালিকা থেকে চোকসির নাম বাদ পড়ার কোনও প্রভাব পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের আর্থিক তছরূপের মামলায় পড়বে না। কারণ, এই মামলাটি ইতিমধ্যে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে যে ইন্টারপোলের লাল তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ যাওয়ার ফলে বিশ্বের যে কোনও দেশে যাতায়াত করতে পারেন চোকসি। তবে ভারতে আসতে পারবেন না তিনি। কারণ এদেশে তাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে।