আদানি-ইস্যু ঘিরে এখনও দেশজুড়ে অব্যাহত তোলপাড়। এবার শিল্পপতি গৌতম আদানিকে গ্রেফতার করার দাবি আরও দৃঢ়ভাবে জানাল বাংলার শাসকদল তৃণমূল। প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আদানি-ইস্যুতে সরব হয়েছে তৃণমূল। জানা গিয়েছে, আগামী দিনে আদানির গ্রেফতারির দাবিতে আন্দোলনের জোর বাড়াবে তারা। সেই প্রতিবাদেরই এক অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে ঘাসফুল শিবির। দলের সংসদীয় দলের তরফে একটি করে টুপি সেবি দফতর, অর্থমন্ত্রী এবং অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রীদের কাছে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল সূত্র। ওই টুপিগুলির উপরে আবার লেখা থাকবে ‘অ্যারেস্ট আদানি’। টুপিতে সব তৃণমূল সাংসদ সই করবেন। সেই সই সম্বলিত চিঠি পৌঁছে দেওয়া হবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের কাছে। অর্থ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীদের কাছে। এবং সেবির দফতর। তৃণমূল সাংসদদের তিন জন করে প্রতিনিধি দল নিয়ে যাবেন টুপিগুলি। ইডি এবং সিবিআই দফতরেও ওই টুপি পাঠানো যায় কিনা, তারও পরিকল্পনা করছে ঘাসফুল শিবির।
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, এটা ১ লক্ষ কোটির দুর্নীতি, আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানিকে গ্রেফতার করতে হবে। মঙ্গলবারও আদানির গ্রেফতারির দাবিতে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদদের মুখে দু’টি স্লোগান শোনা গিয়েছে। এক, ‘আদানি কো অ্যারেস্ট করো’ অর্থাৎ আদানিকে গ্রেফতার করা হোক। দুই, ‘দেশ কা হ্যায় বুরা হাল, আদানি কাল, আদানি কাল।’ এদিকে ইডি-সিবিআইয়ের অতিসক্রিয়তা নিয়ে দিল্লী হাই কোর্টে মামলা করতে চলেছে তৃণমূল-সহ আট বিরোধী দল। তাঁদের দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইডি-সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের চাপে ফেলার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এই আট বিরোধী দলের তালিকায় আছে তৃণমূল আম আদমি পার্টি, ভারত রাষ্ট্র সমিতি, ন্যাশনাল কনফারেন্স, এনসিপি, শিব সেনার উদ্ধব শিবির, আরজেডি এবং জেডিইউ।