বুধবার ডব্লিউপিএলে তাদের প্রথম জয় পেয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মহিলা দল। প্রতিযোগিতায় প্রথম চারটি ম্যাচই হেরেছিল তারা। গতকাল ম্যাচের আগে স্মৃতি মন্ধানা, রিচা ঘোষদের সঙ্গে বুধবার গিয়ে দেখা করলেন বিরাট কোহলি। তার পরেই মরসুমের প্রথম জয় তুলে নিল আরসিবি। হারিয়ে দিল ইউপি ওয়ারিয়র্সকে। ম্যাচের পর এক ক্রিকেটার বলেই দিলেন, বিরাটের বার্তায় উজ্জীবিত হয়েই তাঁরা ভাল খেলতে পেরেছেন। কী ভাবে মহিলা ক্রিকেটারদের তাতিয়েছিলেন বিরাট, সেই ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছে আরসিবি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ খেলতে মুম্বইতে গিয়েছেন বিরাট। সেখানেই চলছে ডব্লিউপিএল। স্মৃতি, রিচাদের সঙ্গে দেখা করে নিজের ক্রিকেটজীবনের ব্যর্থতা এবং সাফল্যের কথা তুলে ধরেন বিরাট। বলেন, “আমি ১৫ বছর ধরে আইপিএল খেলছি। এখনও ট্রফি জিতিনি। কিন্তু প্রতি বছর নতুন উদ্যমে খেলতে নামার পথে সেটা বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। ওটাই আমার কাজ। প্রতি ম্যাচ এবং প্রত্যেকটা প্রতিযোগিতায় সমান তাগিদ নিয়ে খেলতে নামি।”
পাশাপাশি, ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের বক্তব্য, “জিততে পারলে ভাল। না জিতলে কখনও এই চিন্তাভাবনা করি না, যে ট্রফি হাতে এলেই আমি বড় কোনও ক্রিকেটার হয়ে যাব এবং খুব খুশি হব। এ ভাবে হয় না। সব সময় আমাদের উচিত সুযোগের কথা চিন্তা করা। এখন পরিস্থিতি খারাপ থাকতেই পারে। কিন্তু তার উল্টো দিকও রয়েছে। কখনও এর থেকে খারাপ পরিস্থিতি আসতে পারে। আবার দারুণ ভাল কিছু হতে পারে। আইপিএল জিতিনি ঠিকই, কিন্তু আমাদের সমর্থকরা বিশ্বের অন্যতম সেরা। তার কারণ, প্রতিটা ম্যাচে আমরা জেতার ব্যাপারে দায়বদ্ধ। এটাই সমর্থকরা বেশি ভালবাসে। প্রতি বছর ট্রফি জেতার কোনও নিশ্চয়তা থাকে না। কিন্তু প্রতি ম্যাচে ১১০ শতাংশ দেওয়া আমাদের হাতে থাকে।” বিরাটের কথাই যে তাঁদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে, এটা স্বীকার করেছেন দলের ক্রিকেটার কণিকা আহুজা। “চাপের কথা মাথায় না রেখে কোহলি স্যর আমাদের বলেছেন খোলা মনে খেলতে। মাঠে নেমে কোনও চাপ নিতে বারণ করেছেন। বলেছেন, খেলতে পারার সুযোগ আমাদের প্রত্যেকের কাছে আনন্দের ব্যাপার”, জানিয়েছেন কণিকা।