পিএসজির অন্দরমহলে ফের ঘনীভূত হচ্ছে বনিবনার অভাব? ফুটবলমহলে এমন জল্পনাই ফের মাথাচাড়া দিয়েছে। প্যারিস সঁ জরমঁতে ফুটবলারদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে এমনই কথা জানিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার এক সংবাদমাধ্যম। জানা গিয়েছে যে, দলের চার ফুটবলারের সঙ্গে কথাই নেই কিলিয়ান এমবাপের। তাঁদের মধ্যে মেসি এবং নেইমার ছাড়াও রয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসনেল কিমপেমবার এবং ইতালির মার্কো ভেরাত্তি। কিমপেমবারের সঙ্গেও স্বদেশীয় এমবাপের বন্ধুত্ব নেই। সেই কারণে কথাও বলেন না তাঁরা। ভেরাত্তির সঙ্গে এমবাপের শীতল সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি ওই সংবাদমাধ্যমের। ২০১৭ সালে এমবাপে যোগ দেন পিএসজি-তে। তিনি আসার আগে মালিকের প্রিয় ফুটবলার ছিলেন ভেরাত্তি। এমবাপে আসার পর সেই জায়গা হারান তিনি। তাতেই এমবাপের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয় ইতালীয় মিডফিল্ডারের।
তবে মেসি, নেইমারের সঙ্গে এমবাপের কথা না হওয়াটা নিঃসন্দেহে আশ্চর্যজনক। তাঁরা তিন জনে একসঙ্গে পিএসজি-র আক্রমণ ভাগ সামলান। কিন্তু তাঁরাই নাকি কথা বলেন না। ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে, বার্সেলোনার দুই প্রাক্তন ফুটবলারই পছন্দ করেন না এমবাপেকে। তাঁরা থাকতেও পিএসজি-তে এমবাপে যে ভাবে তারকার সম্মান পান সেটাই পছন্দ নয় নেমারদের। যদিও মেসি বা এমবাপে কখনও বলেননি যে, তাঁরা কথা বলেন না। বরং কাতার বিশ্বকাপের পর এক সাক্ষাৎকারে মেসি জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে এমবাপের কথা হয়েছে। মেসি বলেন, “ফাইনাল নিয়ে এমবাপের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ম্যাচ নিয়ে কথা হয়েছে। আর্জেন্টিনার মানুষ কী ভাবে উৎসব পালন করেছে, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে। আমি ছুটিতে ছিলাম, সেই সময়টা কী ভাবে কাটালাম, কী ভাবে আনন্দ করলাম, সেই সব কথা হয়েছে এমবাপের সঙ্গে। আমিও বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের কষ্ট জানি। সেই হার নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। আসল কথা হল আমার সঙ্গে এমবাপের কোনও সমস্যা নেই। আমাদের সম্পর্ক বরং খুব ভাল।” পাশাপাশি, এমবাপেও জানিয়েছিলেন যে, তাঁর সঙ্গে মেসির বিশ্বকাপ ফাইনালের পর কথা হয়েছিল। “বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আমার সঙ্গে মেসির কথা হয়েছে। জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছি ওকে। জীবনের একটা সেরা মুহূর্তের সামনে দাঁড়িয়েছিল ও। আমিও ছিলাম, কিন্তু আমি হেরে যাই। আমাকে আরও ভাল ফুটবলার হতে হবে”, জানান ফরাসী স্ট্রাইকার।
