বিশ্বদরবারে ফের মুখ পুড়ল মোদী সরকারের। পৃথিবীর নিকৃষ্টতম স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলির তালিকায় ঢুকে পড়ল ভারতের নাম। এই সমীক্ষায় আফগানিস্তান ও মায়ানমারের মতো দেশগুলির সঙ্গে একাসনে বসানো হয়েছে ভারতকে। সুইডেনের ভার্সিটিজ অব ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউট তাদের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে এই দাবি করেছে। দু’বছর আগের একটি রিপোর্টে এই সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়টিই বলেছিল, ভারত নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। তাদের নয়া রিপোর্টে প্রধানমন্ত্রী মোদীর শাসনকালকে ফের কাঠগড়ায় তোলা হল। বলা হল, মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে অবরুদ্ধ করার ধারা বজায় রেখেছে। নির্বাচনী গণতন্ত্রের বিশ্ব তালিকায় ভারতকে ১০৮তম স্থান দিয়েছে সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয়টি। তাদের তালিকায় তাঞ্জানিয়া, বলিভিয়া, মেক্সিকো, সিঙ্গাপুর ও নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলিরও নীচে ঠাঁই হয়েছে ভারতের। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে শোরগোল।
প্রসঙ্গত, সুইডেনের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে গত ৩রা মার্চ। ‘ডিফিয়েন্স ইন দ্য ফেস অব অটোক্রেটাইজেশন’ শীর্ষক এই রিপোর্টে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর শাসনকালের। যেসব দেশগুলিতে নাটকীয়ভাবে রাজনৈতিক মেরুকরণের ঘটনা বড়ছে, ভারত তাদের অন্যতম। মেরুকরণের বিষে সহযোগিতার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নাগরিকরা তাতে সম্মোহিত হয়ে গণতন্ত্রিক নীতিগুলি থেকে সরে আসছেন। মেরুকরণ বাড়তে থাকার কারণেই একনায়ক নেতাদের সমর্থন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে স্বৈরাচারী নেতাদের হাত ক্রমশ শক্ত হয়ে উঠছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন শিল্পপতি সোরোস আদানি কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিঁধেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, আদানি-ইস্যুতে মোদীর রাজনৈতিক প্রভাব হ্রাস পাবে। আবার নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসি’র সাম্প্রতিক তথ্যচিত্র ঘিরেও চূড়ান্ত তোলপাড় হয়েছে। তারই মধ্যে সুইডেনের বিশ্ববিদ্যায়ের এই রিপোর্ট স্বভাবতই আরও মাথাব্যথা বাড়াল মোদী সরকারের। দেশজুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়। সরব হয়েছে একাধিক মহল।