মঙ্গলবার ছিল দোলপূর্ণিমা। রঙের উৎসব। আর সেই উৎসবের দিনেই মায়ের সামনে তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলার জনাইয়ে। মৃতের নাম কৃষ্ণেন্দু দাস (৩২)। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক আরও দু’জন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চণ্ডীতলার জনাই স্টেশন সংলগ্ন মধ্যপাড়া এলাকায় দোলের দিন দুপুরে কৃষ্ণেন্দু দাসের সঙ্গে বচসা বাঁধে প্রতিবেশী যুবক রুনু সিংয়ের। বাড়ি নিয়ে নাকি দুই পরিবারের দীর্ঘদিনের বিবাদ। মঙ্গলবার মদ্যপ অবস্থায় রুনু ও তাঁর দুই ছেলে বুদো আর বাবু হঠাৎই কৃষ্ণেন্দুর ওপর চড়াও হয়। উঠোনে ফেলে লাথি ঘুষি মারতে থাকে। এমনকী লাঠিপেটাও করা হয়। শেষে বিয়ারের বোতল ভেঙেও নৃশংসভাবে মারা হয় তাঁকে।
এদিকে, ছেলেকে মার খেতে দেখে বাঁচাতে এগিয়ে যান মা যুথিকা দাস। তাতেও ছাড় মেলেনি। অভিযোগ, উল্টে ওই মহিলাকেই ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন অভিযুক্তরা। এরপর স্থানীয়রা ছুটে এসে আহত যুবককে উদ্ধার করে চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায়নি। ওখানেই চিকিৎসকরা কৃষ্ণেন্দুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, ঘটনার পরই অভিযুক্ত রুনু সিংকে ধরে আটকে রাখে স্থানীয়রা। তবে তাঁর দুই ছেলে পালিয়ে গিয়েছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চণ্ডীতলা থানার পুলিশ।