একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই শনির দশা শুরু হয়েছে বঙ্গ বিজেপির। দলত্যাগের হিড়িক, গোষ্ঠীকোন্দল তো ছিলই। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও বেহাল দশা সংগঠনেরও। যা নিয়ে বেজায় অসন্তুষ্ট দিল্লীর নেতারা। আর তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রত্যেকটি বুথকে শক্তিশালী করতে এখন উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। যদিও সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তবে এই কাজের জন্য মোটরবাইক আছে এমন দলীয় কর্মীদের হন্যে হয়ে খুঁজছেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-নেত্রীরা। শক্তিশালী বুথের সঙ্গে মোটরবাইক বাহিনীর সরাসরি যোগসূত্র রয়েছে এমন সমীকরণ অবশ্য রাজনৈতিক মহল সহজে মেনে নিতে নারাজ। তবুও বুথ স্বশক্তিকরণ কর্মসূচিতে মোটরবাইক আছে এমন দলীয় কর্মীদের খুঁজে বের করছে তারা।
ইতিমধ্যেই সাগরদিঘিতে বিজেপির জামানত জব্দ হয়েছে। একুশের নির্বাচনের পর থেকে বিজেপিকে শুধুই পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে। কারণ সংগঠন বলে জেলায় কিছু এখন আর নেই। সম্প্রতি বুথস্তরের হাল নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেছেন মঙ্গল পাণ্ডে এবং সতীশ ধন্দ। তাতে রাজ্য বিজেপির সংগঠনের কঙ্কালসার চেহারা তুলে ধরা হয় জেপি নড্ডার কাছে। তাতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আস। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য থেকে জেলায় ‘বুথ স্বশক্তিকরণ অভিযান’ কর্মসূচির যে পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে, তাতে বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। এদিকে বুথ শক্তিশালী করার সঙ্গে মোটরবাইকের কী সম্পর্ক? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন অনেকে।
যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মোটরবাইক আছে এমন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা গেলে দলীয় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা যাবে। বুথের কোথায় কোনও সমস্যা বা কোনও দলীয় কর্মী অসুস্থ হলে, দ্রুত পৌঁছতে মোটরবাইকের প্রয়োজন বলে তাঁরা মনে করছেন। এতে দলের কাজে গতি আসবে। যদিও বিজেপির এই কর্মসূচির নেপথ্যে অন্য গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূল। তাদের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন। আর তাতে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে বুথে বুথে মোটরবাইক বাহিনী গড়তে চাইছে বিজেপি। বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘রাজ্যের কোনও বুথেই বিজেপি কর্মীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব জায়গায় প্রার্থী দিতেও পারবে না বিজেপি। তাই নির্বাচনে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে বাইকবাহিনী প্রস্তুত করছে ওরা।’