ভারত একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এটি শুধু সংবিধানের ঘোষণা নয়, একটি ধারা। রাষ্ট্রকে অবশ্যই এই মহৎ উপলব্ধি দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রকে মনে রাখতে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতির মৌলিক অধিকারগুলি সুরক্ষিত করতে সে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
একটি মামলায় এই মন্তব্য লিখিত রায়ে উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। মামলায় মৌখিক রায় ক’দিন আগেই ঘোষণা করে শীর্ষ আদালত। সেই রায়ে দেশের উপাসনাস্থল এবং জায়গা ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনে বিশেষ সংস্থা গঠনের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। সর্বোচ্চ আদালতে মামলাটি করেছিলেন বিজেপির আইনজীবী সাংসদ অশ্বিনী উপাধ্যায়। সংক্ষিপ্ত রায়ে শীর্ষ আদালত বলে, নাম ইতিহাসের অংশ। সেগুলি ইচ্ছে মতো বদলে দেওয়ার অর্থ ইতিহাসকে মুছে ফেলা। বিজেপির সাংসদ-আইনজীবীর দাবি ছিল, নাম বদলের কাজ ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যেতে দেশে একটি কমিশন গঠন করা হোক।
সেই মামলার লিখিত রায় শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ এবং লিখিত রায়ে স্পষ্ট তারা বিজেপি সরকারের নাম বদল কর্মসূচিকে অনুমোদন করে না। রাজনৈতিক মহলে আগেই এ নিয়ে আপত্তি উঠেছে। বিশেষ করে ইসলামিক নামগুলি নির্বিচারে মুছে ফেলার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশের সুশীল সমাজ এবং শিক্ষা মহল তীব্র আপত্তি তুলেছে। শীর্ষ আদালতের রায়ে সেই আপত্তি অনুমোদন পেল বলা চলে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির বিজেপি সরকার নাম বদল অভিযানে রাশ টানে কিনা সেটাই দেখার। কারণ আদালত আপত্তি জানালেও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।