এর আগে একাধিক বার সিপিএম-বিজেপি আঁতাতের প্রমাণ মিলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে পরাস্ত করতে হাত মিলিয়েছে বাম-রাম। এমনকী সম্প্রতি সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে রিপোর্টও জমা পড়েছে। এবার ফের প্রমাণ মিলল রাম-বাম আঁতাতের। পঞ্চায়েতের রণকৌশল কী হবে তাই নিয়েই সিপিএমের দলীয় বৈঠক চলছিল। বৈঠকে সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী দেবলীনা হেমব্রমের মতো দুই হেভিওয়েট ছিলেন। কিন্তু সেই বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মণ্ডল সহ-সভাপতি। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে যা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। শুক্রবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় সিপিএমের দলীয় সভার এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব তৃণমূল।
অন্যদিকে, বিজেপি ও সিপিএম— দু’পক্ষই এই ঘটনায় প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে। গতকাল খাতড়ায় একটি বেসরকারি লজে সিপিএমের এই বৈঠক হয়। জঙ্গলমহলে দলীয় সদস্যদের নিয়ে সিপিএমের এই বৈঠকে বিজেপির রানিবাঁধ মণ্ডলের সহ-সভাপতি লব মণ্ডলকে বৈঠক করতেও দেখা গিয়েছে। তিনিও সিপিএমের দলীয় বৈঠকে থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সিপিএমের এই বৈঠকে ছিলাম। এটা সিপিএমের দলীয় সদস্যদের নিয়ে বৈঠক। বৈঠকে আমি লোক নিয়ে এসেছিলাম। তাই এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম।’ অন্যদিকে, দলীয় সভায় বিজেপি নেতার এহেন উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সিপিএমের জেলা সম্পাদককে অজিত পতির সাফাই, কীভাবে ওই বিজেপি নেতা আমাদের এই দলীয় সভায় উপস্থিত হলেন তা নিয়ে জানতে চাওয়া হবে রানিবাঁধ এরিয়া কমিটির সদস্যদের কাছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।