প্রথমে গেরুয়া ঝড়ের দিকে ইঙ্গিত। কিন্তু যত সময় যাচ্ছে, ততই ত্রিপুরায় হাড্ডাহাড্ডি হচ্ছে ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই। কারণ, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৬০ আসনের মধ্যে বিজেপি-আইপিএফটি জোট ২৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে৷ বাম-কংগ্রেস জোট এগিয়ে রয়েছে ১৯টি আসনে৷ অন্যদিকে, তিপ্রামোথা এগিয়ে রয়েছে ১২টি আসনে৷ এখনও খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল৷
ত্রিপুরায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজন ৩১টি আসন৷ এখনও পর্যন্ত ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও তাদের অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট৷
পাশাপাশি, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি করেই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের অন্যতম নির্ণায়ক ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রদ্যোৎ মাণিক্য দেব বর্মার তিপ্রামোথা৷ এখনও পর্যন্ত ১২ আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা৷ ফলে শেষ পর্যন্ত ত্রিপুরা নির্বাচনের ফল ত্রিশঙ্কু হলে, নির্ণায়ক শক্তি হয়ে দাঁড়াতে পারে তিপ্রামোথাই৷
এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ত্রিপুরায় এগিয়ে থাকলেও অস্বস্তির মধ্যেই পড়তে হয়েছে শাসক দল বিজেপি-কে৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা আড়াইশো মতো ভোটে টাউন বরদৌলি কেন্দ্র থেকে এগিয়ে রয়েছেন৷ রাজ্যের প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতিও পিছিয়ে রয়েছেন৷ রাজধানী আগরতলায় এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মন৷