মেঘালয়ে সকাল সকাল সবাইকে প্রায় অবাক করে দিয়েই ‘ফার্স্ট বয়’ হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এনপিপি, বিজেপি, সবাইকে পিছনে ফেলে ১৯টি আসনে এগিয়ে গিয়েছিল ঘাসফুল শিবির। এনপিপি সেখানে ১২টি আসনে এগিয়ে ছিল সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ। বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল। তবে ১০টা নাগাদ ফের একবার পিছিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। এনপিপি সেই রাজ্যে এগিয়ে যায় ১৪টি আসনে, তৃণমূল এগিয়ে ১৩টি আসনে। তবে যদি এই রাজ্যে তৃণমূল একক বৃহত্তম দল হতে পারে, তাহলে তা মমতার জন্য বড় প্রাপ্তি হবে।
বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, তৃণমূল যদি মেঘালয়ে ১০টি কম আসন পায়, তাহলে কিংমেকারও হতে পারবে না তারা। অবশ্য মেঘালয়ে যা আসন পাবে, সেটাই বড় পুরস্কার হতে চলেছে তৃণমূলের কাছে। কারণ গতবারের বিধানসভা নির্বাচনে ১০০ শতাংশ আসনেই জামানত জব্দ হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের। তবে এবার প্রথম থেকেই ফ্রন্ট ফুটে খেলছে তৃণমূল।
২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে দু’জন সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। একজন ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরজন পূর্ণ সাংমা। কনরাড সাংমার বাবা। তাই মেঘালয়ে তৃণমূলের অস্তিত্ব ছিল আগেও। তবে নতুন করে সেই রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই লড়াইতে কংগ্রেস ভাঙিয়ে মুকুল সাংমাকে নিজেদের সেনাপতি করেছেন মমতা।
মনে করা হচ্ছে, এবার মেঘালয়ে বিরোধী ভোটে থাবা বসাতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ঘাসফুল শিবির নিজেরা সরকার গঠনের বিষয়ে আশাবাদী। এই আবহে কংগ্রেসের কপাল পুড়তে পারে। যা নিয়ে কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে কথার লড়াইও হয়েছে। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস ভাঙিয়েই এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছিল তৃণমূল। আর এই নির্বাচনে কংগ্রেস ডবল ডিজিটেও পৌঁছতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না।