একদিন আগেই রায়পুর প্লেনাম থেকে দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী তাঁর অবসরের জল্পনা উসকে কার্যত ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার প্রশংসায় মুখর হয়েছিলেন। তার ঠিক পরেই রবিবার ফের রাহুল গান্ধীর নতুন করে ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার কর্মসূচি শোনাল কংগ্রেস। আগের কর্মসূচি ছিল দক্ষিণ থেকে উত্তরে। এবার রাহুলের ‘ভারত জোড়ো’ চলবে পূর্ব থেকে পশ্চিমে। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, অরুণাচল প্রদেশের পাসিঘাট থেকে এই নতুন ‘ভারত জোড়ো’ শুরু হবে। যা শেষ হবে মহাত্মা গান্ধীর জন্মস্থান গুজরাতের পোরবন্দরে।
ওয়ানাডের সাংসদের নেতৃত্বে কংগ্রেসের গত ‘ভারত জোড়ো’য় ব্যাপক সাড়া মিলেছে। সমাজের অসংখ্য মানুষ এই কর্মসূচিতে স্বেচ্ছায় শামিল হয়েছেন। ৪,০০০ কিলোমিটার যাত্রাপথের শুরুটা হয়েছিল দক্ষিণে কন্যাকুমারীতে। জানুয়ারিতে শেষ হয়েছে কাশ্মীরে। রাহুলের নিজের কথায়, এই ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা কোনও পদযাত্রা নয়। এটা আসলে ‘তপস্যা’। যে ‘তপস্যা’ সনিয়া গান্ধীর প্রশংসার পরই রাহুল জানিয়ে দিয়েছেন যে আরও চালিয়ে যেতে চান। জয়রাম রমেশের দাবি, রাহুলের এই ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে।
তবে, এবারের যাত্রা আগের বারের চেয়ে একটু অন্যরকম হবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন জয়রাম। তিনি বলেন, ‘এবারের যাত্রায় অনেক কম যাত্রী হয়তো থাকবেন। শুধু তাই নয়, আগের যাত্রার মত ব্যাপক ব্যবস্থাপনা না-ও থাকতে পারে।’ একইসঙ্গে জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, এবারের যাত্রাপথে অনেক বেশি জঙ্গল ও নদী পড়বে। তাই যাত্রার ধাঁচ আলাদা হবে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা বহুধাঁচের যাত্রা হলেও মূলত পদযাত্রাই হবে।’