শিল্পপতি আদানিকে বাঁচাতে আসরে নেমেছে সরকার। রবিবার রায়পুরে দলের প্লেনারি অধিবেশনে এই অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাহুল গান্ধী। যুব নেতা বলেন, কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধীদল সংসদে যখনই এই নিয়ে আলোচনার দাবি তুলেছে, সরকার সেই দাবি মানতে অস্বীকার করেছে। সরকার জানে এই নিয়ে সংসদে আলোচনা করলে তারা অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়বে। তাই, সেই অস্বস্তি এবং আদানিকে বাঁচাতে সরকার সংসদে আলোচনা এড়িয়ে যেতে চাইছে।
রাহুল বলেন, সংসদে আমি এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। আদানিকে নিয়ে করেছিলাম সমালোচনা। প্রশ্ন ছিল, বিশিষ্ট এই শিল্পপতির সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের রসায়ন কোথায়। সরকার সেই প্রশ্নের জবাব দেয়নি। আদানি ও প্রধানমন্ত্রী মোদী এক মুদ্রার দুই পিঠ। দেশের সম্পত্তি যার অধিকারী দেশবাসী, সেই সম্পত্তি দখল করে রেখেছেন মোদি এবং তাঁর সরকার ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি আদানি।
সমালোচনা করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। বিদেশমন্ত্রী সম্প্রতি চিন এবং ভারতের আর্থিক অবস্থার তুলনা করেন। তাঁকে বলতে শোনা যায় সে দেশের অর্থনীতি ভারতের থেকেও বৃহৎ। তাই, বৃহৎ অর্থনীতির একটি দেশের বিরুদ্ধে লড়াই করা প্রায় অসম্ভব। রাহুল গান্ধির প্রশ্ন, দেশের বিদেশমন্ত্রীই স্বীকার করছেন চিনের অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ কথা শুনে আমি যুগপৎ বিস্মিত। আমার দেশের বিদেশমন্ত্রী প্রতিবেশী দেশের অর্থনীতির তুলনা করছেন। করছেন প্রশংসা। এটা অত্যন্ত লজ্জার।