জনসংযোগ আরও নিবিড় করার উদ্দেশে বছরভর একাধিক অনুষ্ঠান, সভা করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সারাবছর ধরেই প্রশাসনিক ব্যস্ততা, নিরাপত্তায় বাড়তি নজর রাখতে হয় পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে দলের নিচুস্তরের সংগঠনকেও। সেখানে যাতে নিরাপত্তা একচুলও বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে কড়া নজর থাকে। এবার সেই নিরাপত্তার কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের গুটিকয়েক নিয়মবিধি বদলে ফেলা হল। শনিবার মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী নবান্ন থেকে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে নয়া নিয়মের কথা ঘোষণা করলেন। বলা হয়েছে, এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও অনুষ্ঠানে রান্না করা খাবার পরিবেশন করা যাবে না। দিতে হবে প্যাকেটজাত শুকনো খাবার।
সম্প্রতি জেলায় জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানগুলিতে খাবারের মান নিয়ে নবান্নে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে বলে খবর। বড় সভা বা অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে বেশি সংখ্যক মানুষের রান্না করতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে কর্মীদের। কিছু কিছু ক্ষেত্রে খাবারের মানও বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এসব নিয়ে অভিযোগে জেরবার নবান্ন। সম্প্রতি শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর পাট্টা বিলি অনুষ্ঠানেও এমনই সমস্যা হয়েছিল। সেখানে রান্না হওয়া বিরিয়ানি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তারপর থেকেই সাবধানী নবান্ন। আর সেই কারণেই রান্না করা খাবার পরিবেশনে বদল আনার সিদ্ধান্ত।
শনিবার নবান্ন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সমস্ত জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানেই তিনি নির্দেশ দেন, জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আর রান্না করা খাবার নয়, প্যাকেটজাত শুকনো খাবার পরিবেশন করতে হবে। তবে সেই খাবারের মেয়াদ ভালভাবে দেখে নিয়ে তবেই বিলি করতে হবে। এবারের যত্নশীলতার সঙ্গে ব্যবস্থা করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। আর এতে কর্মীদের চাপও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।