১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট মুজাফফরপুর জেলে ফাঁসি হয়েছিল ক্ষুদিরাম বসুর। অন্যদিকে, নিজের শরীরে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন প্রফুল্ল চাকী। মৃত্যুর ১১৫ বছর বাংলার এই দুই মহান বিপ্লবীর নামে এবার বিদ্যুতের বিল পাঠাল উত্তর বিহার বিদ্যুৎ পর্ষদ! হ্যাঁ, তাও আবার দেশজুড়ে যখন স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালিত হচ্ছে তখন। এই দুই স্বাধীনতা সংগ্রামীর নামে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার বিদ্যুতের বিল পাঠানো হয়েছে। শহিদদের হাতের কাছে না পেয়ে মুজাফফরপুরের তাঁদের স্মৃতিস্তম্ভে সেঁটে দেওয়া হয়েছে বিলটি। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মুজাফফরপুর-সহ গোটা বিহারে। প্রশ্ন উঠছে, শহিদদের নামে বিদ্যুতের বিল কি ভুল করে?
উত্তর বিহার বিদ্যুৎ পর্ষদ ওই বিল পাঠিয়েছে ২২ ফেব্রুয়ারি। বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৪৩ টাকা। বকেয়া মেটানোর নোটিশ সেঁটে দেওয়া হয়েছে মুজাফফরপুরের কোম্পানি বাগ এলাকার ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকীর স্মৃতিস্তম্ভে। নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী ৪ মার্চের মধ্যে বকেয়া না মেটালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। পাটনার বিদ্যুৎভবনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই বিল ভুয়ো নয়। ভুল হয়নি পর্ষদের। আসলে বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে দুই শহিদের স্মৃতিস্তম্ভের। সেখানে রাতে আলো জ্বলে, যার দেখভালের দায়িত্ব একটি বেসরকারি সংস্থার। কিন্তু তাদের নামে বিল না করে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকীর নামে নোটিশ কেন? খবরটিকে ভাইরাল করে ওই সংস্থাকে চাপে ফেলার কৌশল? উত্তর দেয়নি পর্ষদ।