শুরু হয়ে গিয়েছে আইপিএলের কাউন্টডাউন। অবিলম্বেই শহরে আরম্ভ হতে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের আবাসিক শিবির। মুম্বইয়ে কেকেআরের ক্যাম্পে প্রাক-মরসুম প্রস্তুতি শুরু হলেও সেখানে শুধুমাত্র ঘরোয়া ক্রিকেটারেরা অনুশীলনে নেমেছেন। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠেই প্রস্তুতি শুরু করবে কেকেআর। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইনরা মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহতেই পৌঁছে যাচ্ছেন ভারতে। থাকবেন লিটন দাস, শাকিব-আল-হাসানরাও। কিন্তু শ্রেয়স আয়ার যোগ দেবেন ২৩শে মার্চের পরে। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ওয়ান ডে সিরিজ় শেষ না হলে নাইট শিবিরে যোগ দিতে পারবেন না তিনি। কেকেআরের প্রাক-মরসুম প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিয়েছেন বেঙ্কটেশ আয়ার, রিঙ্কু সিংহ, নীতীশ রানা ও সিভি বরুণ। নাইটদের মেন্টর অভিষেক নায়ারের তত্ত্বাবধানে এ দিন থেকেই আইপিএলের শিবির শুরু হয়ে গিয়েছে। যোগ দিয়েছেন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতও। প্রথম দিনই নেটে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন বেঙ্কটেশ, রিঙ্কুরা।
এপ্রসঙ্গে এক নাইট কর্তা বলছিলেন, ‘‘ইডেনে প্রথম ম্যাচে আমাদের প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। শুরু থেকেই আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। এত বছর পরে ঘরের মাঠে আবার ফিরতে চলেছে দল। নামতে চলেছে ইডেনের ৬০ হাজার দর্শকের মাঝে। নাইট সমর্থকেরা যাতে হতাশ হয়ে বাড়ি না ফেরেন, সেটা দেখা দলের দায়িত্ব। তবে ইডেনে এ বার নামতে মরিয়া নাইটরা।’’ সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টিতে খুব একটা ভাল কিছু করে দেখাতে পারেনি আবু ধাবি নাইট রাইডার্স। আইপিএলে তাই আর খালি হাতে ফিরতে চায় না দল। ২০১৪ সালের পর থেকে নাইট শিবির আইপিএলের মুখ দেখেনি। গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বেই শেষ বার কাপ তুলেছে কেকেআর। তার পরে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স পরপর খেতাব জিতলেও আইপিএল যাত্রা থেমে গিয়েছে প্লে-অফেই। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের প্রশিক্ষণে এ বার ট্রফি জিততে মুখিয়ে রয়েছে কেকেআর। ঘরোয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে শক্তিশালী দলগঠন করার চেষ্টা করেছেন নাইট কর্তারা। তাঁদের নিয়েই ইডেনে দ্রুত অনুশীলনে নেমে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কোচের। ইডেনের পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার জন্য এহেন সিদ্ধান্ত নাইট শিবিরের, এমনই মনে করছেন ক্রিকেট-বিশেষজ্ঞরা।