বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় জুনায়েদ ও নাসির নামে দু’জন মুসলিম যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। গরু পাচারকারী সন্দেহে দুই মুসলিম যুবককে পুড়িয়ে মারা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশ ও বজরং দলের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মৃতের পরিবার। এবার পুলিশি তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে রিংকু সাইনি নামে এক ব্যক্তিকে। জিজ্ঞাসাবাদে সে দাবি করেছে ২ মুসলিম যুবক গরুপাচারকারী সন্দেহে হরিয়ানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তদন্তে জানা গেছে, ধৃত পাঁচজন অনিল, শ্রীকান্ত, রিঙ্কু সাইনি, লোকেশ সিংগা ও মোহিত যাদব পুলিশের হয়ে ইনফর্মারের কাজ করত। গোরক্ষক দলের হয়ে এরা গরু পাচারকারীদের খোঁজ দিত পুলিশকে। কোথাও এমন ঘটনা ঘটছে কিনা তার খবরাখবর রাখত।
নিহতদের পরিবার দাবি করেছে, পুলিশই দুই যুবক নাসির ও জুনেইদকে ‘বজরং দলের’ লোকজনের হাতে তুলে দেয়, পরে তারাই গরু পাচারকারী সন্দেহে একটি বোলেরো গাড়ির ভিতর তাদের পুড়িয়ে হত্যা করে। তাদের মৃতদেহ বুধবার ভিওয়ানির লোহারু গ্রামের কাছে পাওয়া যায়। দুজনেই রাজস্থানের ভরপুর জেলার ঘটমিকা গ্রামের বাসিন্দা। এই গ্রামটি হরিয়ানা সীমান্তের একেবারে কাছেই অবস্থিত। জুনেইদের ভাই ইসমাইল বুধবার গোপালগড় থানায় (ভরতপুর) অপহরণের মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর রাজস্থানের ভিওয়ানি ও ভরতপুর জেলার পুলিশ তদন্তে নেমেছে। পাশাপাশি নিহত দুজনের দেহের নমুনা সংগ্রহ করে তাদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।