গত ডিসেম্বরের গোড়ায় পুরভোটে ২৫০ আসনের দিল্লী পুরনিগমে ১৩৪টি ওয়ার্ডে জিতেছিল আম আদমি পার্টি। তবে তারপর থেকেই মেয়র নির্বাচন ঘিরে আপ এবং বিজেপি কাউন্সিলরদের সংঘাতের জেরে কার্যত অচালবস্থা চলছিল দেশের রাজধানীতে। অবশেষে এবার দিল্লীর মেয়র নির্বাচন মামলায় আপ-এর পক্ষেই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। অন্যদিকে, ২০১৪ সালের বিতর্কিত মন্তব্য মামলাতেও স্বস্তি পেলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দিল্লীর পুর নির্বাচনে বিজেপির ১৫ বছরের রাজত্বে ইতি টেনে রমরমিয়ে জিতেছে কেজরির পার্টি। কিন্তু তাতেও স্বস্তি কই। নির্বাচনে জিতলেও দিল্লী পুরসভার মেয়র ও ডেপুটি মেয়র নির্বাচন ঝুলে ছিল। তিন তিনবার চেষ্টা করেও মেয়র নির্বাচন করা যায়নি। মূল সমস্যাই ছিল দিল্লীর উপরাজ্যপাল নির্বাচিত অল্ডারম্যানেরা। দিল্লীর উপ রাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা ১০ জন অল্ডারম্যান মনোনীত করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচিত কাউন্সিলরদের আগেই এই মনোনীত সদস্যদের শপথগ্রহণ করানোর চেষ্টা করা হলে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আপ দাবি করে, এই ভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথগ্রহণের আগে মনোনীত প্রার্থীদের শপথগ্রহণ নিয়মবিরুদ্ধ। তাছাড়া, মেয়র নির্বাচনে মনোনীত সদস্যদের ভোটাধিকারের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেও শীর্ষ আদালতে আবেদন জানায় আপ। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা দিল্লীর নির্বাচিত সরকারকে উপেক্ষা করে একতরফা ভাবে ১০ জন অল্ডারম্যান নিয়োগ করে মেয়র নির্বাচনে তাঁদের ভোটাধিকার দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই সিদ্ধান্তকে শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ জানান আপ-এর মেয়র পদপ্রার্থী শেলি। শুক্রবার দিল্লীর এমসিডি-র মেয়র নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, মনোনীত সদস্যদের ভোটাধিকার থাকা উচিত নয়।