কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর – দীর্ঘ কয়েক মাসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শেষে এখন ফুরফুরে মেজাজে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। যে কাশ্মীরে যাত্রা শেষ হয়েছে, সেখানেই আপাতত রয়েছেন তিনি। ভূস্বর্গের নৈসর্গিক পরিবেশ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন তিনি।
বুধবার অন্যরূপে দেখা গেল সোনিয়াপুত্রকে। জম্মু-কাশ্মীরের বরফঢাকা গুলমার্গে স্কি করছেন রাহুল গান্ধী! দিব্যি উপর থেকে ঢাল বেয়ে নিচে নেমে এলেন গড়গড়িয়ে। সঙ্গে অবশ্য ইনস্ট্রাকটর। ভিআইপি নন, একেবারে সাধারণ পর্যটকদের সঙ্গেই তাঁকে স্কি করতে দেখা গেল। তাঁদের আবদারে সেলফিও তুললেন রাহুল। তবে এড়িয়ে গেলেন সাংবাদিকদের। রাহুল গান্ধীর স্কি করার সেই ভিডিও আপাতত ভাইরাল। আর চর্চাও তুঙ্গে।
রাজনৈতিক নেতাদের ছুটি মানে তো আর সে অর্থে কাজ থেকে সম্পূর্ণ বিরতি নয়। হয়ও না। অন্তত মস্তিষ্কের কাজ তো করতেই হয়। কিন্তু কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে জনসংযোগে দেশের এ প্রান্ত-ও প্রান্ত চষে ফেলেছেন পায়ে হেঁটেই। রোদ-ঝড়-বৃষ্টি-বরফের মাঝে স্পোর্টসম্যানের মতো ফিটনেস নিয়ে তিনি কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন। সেই ভারত জোড়ো যাত্রা কতটা সফল, তা তো সময়ই বলবে। তবে দল এনিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী। আর তাই গোটা কর্মকাণ্ডের কাণ্ডারী রাহুল গান্ধী ফুরফুরে মেজাজে। নিশ্চিন্তে ছুটি কাটাচ্ছেন, যাকে বলে ‘পারফেক্ট ভ্যাকেশন’।
আর ছুটি কাটানোর জায়গা যখন কাশ্মীর, তখন তা আরও আকর্ষণীয়, মন ভাল করা তো হবেই। সেভাবেই সোনিয়াতনয়কে দেখা গেল অন্য মেজাজে। গুলমার্গের বরফঢাকা উপত্যকায় স্কি করতে ব্যস্ত তিনি। এবং তা বেশ উপভোগও করলেন। অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে তাঁর এত আগ্রহ দেখে সবাই ভিডিও করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। রাহুল অবশ্য কাউকে বাধা দেননি। তবে সাংবাদিকদের মোটেই গ্রাহ্য করলেন না। ‘নমস্কার’ বলে ফের স্কি-তে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন।