সামনেই বিধানসভা নির্বাচন মেঘালয়ে। ইতিমধ্যেই তুঙ্গে রাজনীতির পারদ। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে নিজেদের ভিত শক্ত করতে মরিয়া বাংলার শাসকদল তৃণমূল। বুধবার মেঘালয়ে প্রচারে হাজির হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ভোটের সুর বেঁধে দিলেন তিনি। এদিন দক্ষিণ তুরায় বর্ণাঢ্য পদযাত্রার শেষে জনসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানে একাধারে যেমন তৃণমূলের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেন, তেমনই অন্য়দিকে বিজেপি ও এনপিপির শাসনকালের একাধিক সমস্যার উল্লেখও করেন। তাঁর কথায় উঠে আসে মেঘালয়ের সীমানা সমস্যার কথাও। বিজেপিকে একহাত নিলে বললেন, “ভাষণ নয়, রেশন চাই।” জনসভা থেকে অভিষেকের দাবি, “বাংলারও একাধিক রাজ্যের সঙ্গে সীমানা রয়েছে। তারপরেও বাংলায় কোনও সমস্যা নেই। বাংলার মানুষের গায়ে সূঁচ বেঁধানোর ক্ষমতা কারওর নেই। অথচ মেঘালয়-অসমের সীমানা সংক্রান্ত সমস্যায় গুলি চলে। প্রাণ যায় মেঘালয়ের নিরীহ বাসিন্দাদের।”
পাশাপাশি, বাংলায় কোনও সমস্যা না হওয়ার কারণ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিকে তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ। এরপরই তাঁর দাবি, মেঘালয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে অকারণে প্রাণহানি ঘটবে না। মেঘালয়কে উত্তর-পূর্বের রাজ্য বলা নিয়েও আপত্তি জানান অভিষেক। তাঁর কথায়, “মেঘালয় তো পূর্বের রাজ্য, উত্তর-পূর্বের নয়। পূর্বে যেভাবে সূর্য উদয় হয়, মেঘালয়েও সূর্য উদয় হবে।” একইসঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, বিজেপি-এনপিপিকে হারাতে হলে তৃণমূল ছাড়া অন্য দলকে ভোট দেওয়া চলবে না। কংগ্রেসকে ভোট দিলে গোয়ার মতো পরিস্থিতি হবে বলেও দাবি করেছেন অভিষেক। সবমিলিয়ে এদিনের প্রচারসভা থেকে বিজেপি-কংগ্রেস-এনপিপিকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেন অভিষেক। “মেঘালয়ের তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করা। সুশাসনে ফিরিয়ে আনা”, আহ্বান তৃণমূল সাংসদের।