ফের বড়সড় বিতর্কের কেন্দ্রে বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের প্রচারে এসে মিথ্যে তথ্য দিয়ে দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করতে চলেছেন তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। তিনি মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান। মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কানাইবাবু। মঙ্গলবার সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনী প্রচারে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার সমর্থনে মনিগ্রামে প্রচার করতে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে অভিযোগ করেন, তিনি (শুভেন্দু) যখন তৃণমূলে ছিলেন সেই সময় নবগ্রামের প্রাক্তন বাম বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল নগদ ৫০ লক্ষ টাকা এবং একটি স্করপিও গাড়ির বিনিময়ে দলত্যাগ করে জোড়াফুল শিবিরে যোগদান করেন। বিরোধী দলনেতার এই দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করলেন তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র।
প্রসঙ্গত, বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কানাইচন্দ্র মণ্ডল দাবি করেন, “শুভেন্দু অধিকারী একজন মিথ্যাবাদী এবং তোলাবাজ। উনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার পর থেকে উনি ভুলভাল বকছেন। রাজ্যের মানুষ এক সময় ওঁকে নারদ কাণ্ডে হাতে করে টাকা নিতে দেখেছে। কিন্তু ইডি বা সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত করেনি। এখন সেই তোলাবাজ নেতা আমাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছেন। উনি (পড়ুন শুভেন্দু অধিকারী) কত টাকার বিনিময়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন?” পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, ” আমার গাড়ি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে অভিযোগ তুলেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। ওই গাড়ি আমার স্ত্রীর নামে কেনা। একটি বেসরকারি লোন প্রদানকারী সংস্থাকে ৫৯টি কিস্তিতে আমি সেই গাড়ির টাকা শোধ করেছি।” এরপরই ৩ দিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন কানাইবাবু।