কিছুদিন আগেই দেশ জুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যা কাণ্ড নিয়ে। তাঁকে খুনের পর ছক কষে, ঠান্ডা মাথায় প্রমাণ লোপাট করেছিলেন লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব পুণাওয়ালা। প্রতি দিন রাত ২টো নাগাদ ফ্রিজ খুলে শ্রদ্ধার দেহের টুকরো একটি একটি করে ছতরপুরের জঙ্গলে গিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে আসতেন তিনি। এবার শ্রদ্ধাকাণ্ডের পরপর দু’টি পুনরাবৃত্তি ঘটল দেশের দুই বড় শহরে। একটি দিল্লীতে, যেখানে প্রেমিকাকে করে ঠিক শ্রদ্ধা ওয়ালকরের মতোই ফ্রিজে লুকিয়ে রেখেছিল প্রেমিক। আর একটি ঘটনা ঘটেছে মুম্বইয়ের কাছে, যেখানে লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে বক্স খাটের ভিতরে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর উত্তেজনা ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের পালঘর এলাকায়।
মৃতা ওই যুবতীর নাম মেঘা শাহ (৩৭)। মঙ্গলবার পালঘরের একটি আবাসনে শোওয়ার ঘরের বক্স খাটের ভিতর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পচা গলা দেহটি দেখে মনে করা হচ্ছে, দিনকয়েক আগেই খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। তদন্ত করে পুলিশ জেনেছে, দিন সাতেক আগেই ওই আবাসনের একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে এসেছিলেন মেঘা। সঙ্গে থাকতেন তাঁর প্রেমিক হার্দিক। তিনি বয়সে মেঘার থেকে বছর তিনেকের ছোট। গত ছ’মাস ধরেই সম্পর্কে রয়েছেন দু’জনে। সম্প্রতি তাঁরা লিভ-ইন করতে শুরু করেন। তারপরই ঘটে এই ঘটনা। জানা যায়, গত দু’দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন হার্দিক। এরপরই পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরুর পরই তাঁকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবারই মধ্যপ্রদেশের একটি রেলস্টেশনে তাঁকে ধরে ফেলে রেল পুলিশ। পরে মহারাষ্ট্র পুলিশের হাতে তাঁকে তুলে দেয়। জেরায় প্রেমিকাকে খুনের কথা স্বীকারও করেছেন বছর ৩৪-এর মারাঠি যুবক হার্দিক।