রাজ্য বিধানসভায় পরিষদীয় রীতিনীতির বিষয় নিয়ে নতুন বিধায়কদের পাঠ দিলেন বিশিষ্ট সাংসদ এবং বিধায়করা। প্রসঙ্গত, বাংলার বিধানসভায় ৭০ শতাংশ নতুন বিধায়ক। বিধানসভার রীতিনীতি সম্বন্ধে সম্যক ধারণা না থাকার জন্য সমস্যায় পড়েন অনেকেই। কীভাবে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে হয়, দৃষ্টি আকর্ষণীয় প্রস্তাব আনতে হয় এবং মোশন আনতে হয় তার পাঠ দেওয়া হয় এই বিশেষ কর্মশালায়। বিধানসভায় স্পিকারের ডাকা এই ওরিয়েন্টটেশন কোর্সে যোগ দিলেন বিজেপি বিধায়করাও। এখানে হাজির হন মনোজ টিগ্গার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের দল। বিধানসভায় কীভাবে প্রশ্ন করতে হবে বিধায়কদের, আজ তা নিয়ে ক্লাস নিলেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। আগামী ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বাংলা বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। তার আগে অধ্যক্ষের ডাকা এই ওরিয়েন্টশন কোর্সে হাজির হন মাত্র ৭০ জন বিধায়ক। ২৯৪ জন বিধায়কের মধ্যে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৭০ জন বিধায়ক এই ওরিয়েন্টশন কোর্সে যোগ দেন। বিরোধীরা প্রথমে এখানে ছিলেন না। কিন্তু পরে মনোজ টিগ্গার নেতৃত্বে বিজেপির পাঁচ বিধায়ক তাতে যোগ দেন।
উল্লেখ্য, এদিকে এখানে শিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়, মানস ভুঁইয়া এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ জনপ্রতিনিধিরা। কর্মশালার পৌরহিত্য করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এখানে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, নির্মল ঘোষ এবং তাপস রায়কে। তবে বিরোধী দলনেতা ছিলেন না। প্রথমে বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ এসে সই করে সেটা কেটে দেন। আর সংবাদমাধ্যমের সামনে বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘এই ধরনের কোর্সের কোনও মূল্য নেই। কারণ এখানে যা শেখানো হয়, তা বাস্তবে কখনও কার্যকরি হয় না।’ এরপরই তিনি দেখতে পান, মনোজ টিগ্গা–সহ বিজেপির অন্যান্য বিধায়করা কোর্সে আসছেন। তখন তিনি আবার তাঁদের সঙ্গে ভিতরে ঢুকে পড়েন প্রশিক্ষণ নিতে। কীভাবে প্রিভিলেজ কমিটি কাজ করে, কীভাবে প্রশ্ন করতে হয়, মুলতুবি প্রস্তাব, দৃষ্টি আকর্ষণীয় প্রস্তাব এবং মোশন আনা নিয়ে ক্লাস নেন সাংসদ সৌগত রায়। মনোযোগ সহকারে তা শোনেন নতুন বিধায়করা।