তীর্থ করতে বৃন্দাবনে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তীর্থ সেরে ফেরার পথে আচমকাই ট্রেনে মৃত্যু হয়েছিল সেই যাত্রীর। আর তারপর কলকাতা স্টেশনে প্রায় ঘণ্টাখানেক পড়ে রইল তাঁর দেহ। রেলের কাছে বারবার সাহায্যের আর্তি জানিয়েও লাভ হল না কিছুই। যার ফলে রেলের বিরুদ্ধে উঠল চূড়ান্ত অসহযোগিতার অভিযোগ। রেলকর্মীদের পাশাপাশি স্টেশন মাস্টার নিহতের পরিবারকে সাহায্য করেনি বলেই অভিযোগ। শুক্রবার আগ্রা ক্যান্ট এক্সপ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
নিহত শিবশংকর ঘোষ, বাগুইআটির ঘোষপাড়ার বাসিন্দা। রাজারহাট সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। বরানগরের একটি আশ্রমের শিষ্য ছিলেন তিনি। গত ২৫ জানুয়ারি গুরুভাইদের সঙ্গে তীর্থ করতে বৃন্দাবনে যান। অতিরিক্ত ওজন এবং রক্তচাপের সমস্যা ছিল তাঁর। তীর্থক্ষেত্রে থাকাকালীনই শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় তাঁর। ফেরার পথেই বিপত্তি। বর্ধমান স্টেশনে ঢোকার আগে ট্রেনেই মৃত্যু হয় শিবশংকরের।
ট্রেনটি কলকাতা স্টেশনে আসার পর দীর্ঘক্ষণ দেহ পড়ে থাকে বলেই অভিযোগ। বারবার রেলকর্মীদের থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়। তা সত্ত্বেও রেলকর্মীরা কোনও রকম সহযোগিতা করেননি বলেই অভিযোগ। এমনকী স্টেশন মাস্টারও সমস্যা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাননি বলেই দাবি নিহতের পরিবারের। শিবশংকরবাবুর মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর পরিবারের লোকজনও কলকাতা স্টেশনে পৌঁছন। বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ঘণ্টাখানেক পর টনক নড়ে রেল কর্তৃপক্ষের। তারপরই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের বন্দোবস্ত করা হয়।