হাতে আর বেশিদিন নেই। সামনেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। বাম জমানায় জনজাতি এলাকাগুলি থেকে সিপিএম যে বছরের পর বছর জিতত তার মূল ভিত্তি ছিল জনজাতিদের সংগঠন গণমুক্তি পরিষদ। ২০১৮ সালের দু’বছর আগে থেকে আইপিএফটিকে দিয়ে সেই ভোটব্যাংকে ভাঙন ধরানোর চালিয়ে যাচ্ছেন সুনীল দেওধররা। কিন্তু পাঁচ বছরে ক্রমশ দুর্বল হওয়া আইপিএফটির ভোট এবার কোথায় যাবে? তা নিয়েই সন্দিহান বিজেপি।
পাঁচ বছর ত্রিপুরায় বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার চললেও দু’দলের সম্পর্ক বিশেষ ভাল ছিল না। আইপিএফটি মনে করে, তাদের দুর্বল করার পিছনে বিজেপিরই হাত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় জনজাতিদের দল হিসেবে মাথা তুলেছে তিপ্রা মথা। গেরুয়া শিবির এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে। এবারেও জোট হয়েছে বিজেপি-আইপিএফটির। বিজেপি ৫৫টি আসনে লড়ছে। আইপিএফটি লড়ছে ৬টি আসনে। ওম্পিনগর আসনে দু’দলই প্রার্থী দিয়েছে।
ত্রিপুরায় অন্তত ১৫টি আসন রয়েছে যেখানে ৭০-৮০ শতাংশ জনজাতি অংশের ভোটার। আবার গোটা সাতেক আসন রয়েছে যেখানে বাঙালিরা সিংহভাগ হলেও ২০ শতাংশের কাছাকাছি জনজাতি ভোটার রয়েছে। আগেরবার এই সমর্থন আইপিএফটির দিকে থাকায় তা বিজেপির দিকে গিয়েছিল। এবার কী হবে? মথা এবার ৪২টি আসনে লড়ছে। বিজেপির নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় স্বীকার করে নিচ্ছেন জনজাতি ভোট আগেরবার যেভাবে একজায়গায় এসেছিল এবার তা হওয়া মুশকিল। তাই স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তা বাড়ছে গেরুয়া শিবিরের।