কিছুদিন আগেই আবাস নিয়ে রাজ্যকে ৪৯৩ পাতার একটি চিঠি পাঠিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্র। রাজ্য ইতিমধ্যেই তার জবাব দিয়েছে। এবার ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে পাল্টা চাপ বাড়াল নবান্ন। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কাজে রাজ্যের প্রাপ্য ৬৮০০ কোটি টাকা। যা না পাওয়ায় অসংগঠিত ক্ষেত্রে বহু মজদুর বিপাকে। কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও কেন এখনও বকেয়া দেওয়া হচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে চিঠি দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রককে।
পাশাপাশি, আবাস যোজনা নিয়েও একই সুরে অভিযোগ জানানো হয়েছে চিঠিতে। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে প্রায় সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে নবান্ন। তা সত্ত্বেও কেন এখনও উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কাজ শুরু হল না? দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বৃহস্পতিবার এই খবর জানিয়ে বলেছেন, রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কবে প্রাপ্য টাকা পাওয়া যাবে, সে প্রশ্ন তোলা হয়েছে তাতে। কেন রাজ্য সমস্ত শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও রাজ্যের উপভোক্তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, সেই অভিযোগও তোলা হয়েছে চিঠিতে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, আবাস যোজনায় বাড়তি কোটা চাওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।
প্রদীপবাবু জানিয়েছেন, কেন্দ্র বাংলার জন্য প্রায় ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি বরাদ্দ করেছিল। তার সিংহভাগই তালিকাভুক্ত করার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও প্রায় ২০ হাজার আবেদনকারীর নাম রয়েছে আবাস যোজনায়। এদের যাতে যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তার জন্য বাড়তি ‘কোটা’ চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। কেন্দ্র রাজি হলে আরও অনেক মানুষ উপকৃত হবেন। মন্ত্রীর দাবি, ‘২২-এর মধ্যে দেশের সমস্ত মানুষের মাথার ওপর ছাদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে গেলে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি করে কোটা বরাদ্দ করা ছাড়া উপায় নেই কেন্দ্রের। কেন্দ্র সবুজ সংকেত দিলে এই ২০ হাজারের মধ্যে থেকে আমরা উপযুক্ত আবেদনকারীকে বেছে নেব।’