শহিদত্ব গান্ধী পরিবারের ‘একচেটিয়া অধিকার’ নয়। ইন্দিরা গান্ধী , রাজীব গান্ধীর শহিদ হওয়া প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করেছেন উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রী গণেশ যোশী। শুধু তাই নয়, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীর হত্যার ঘটনা নিছক একটি ‘দুর্ঘটনা’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এপ্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মীরে রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সমাপ্তি হয়। শ্রীনগরে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সমাপ্তি ভাষণে রাহুল তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী এবং বাবা রাজীব গান্ধীর হত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। এপ্রসঙ্গেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবেই গান্ধী পরিবারের শহিদত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন উত্তরাখণ্ডের কৃষি, কৃষক কল্যাণ ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গণেশ যোশী। রাহুল গান্ধীকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি।
ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীর মৃত্যু প্রসঙ্গে কটাক্ষের সুরে গণেশ যোশী বলেন, ‘আমি রাহুল গান্ধীর বুদ্ধিমত্তায় খুশি। শহিদত্ব গান্ধী পরিবারের একচেটিয়া অধিকার নয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য ভগৎ সিং, সাভারকার এবং চন্দ্রশেখর আজাদদের শহিদ হতে দেখা গিয়েছে। গান্ধী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যেটা ঘটেছিল, সেটি দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এবং শহিদদত্বের মধ্যে ফারাক রয়েছে’।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সমাপ্তি ভাষণে রাহুল গান্ধী তাঁর ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী এবং বাবা রাজীব গান্ধীর হত্যার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘হিংসায় উস্কানিদাতারা কখনও সেই যন্ত্রণা বুঝবে না’। এপ্রসঙ্গে বিজেপি মন্ত্রী গণেশ যোশী কটাক্ষের সুরে রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে বলেন, ‘কিন্তু, কেবল একজনের কথায় তাঁর মতোই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যায়’।