ধসে যাচ্ছে উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ। মৃত্যু এড়াতে এলাকায় বসতি খালি করিয়েছে সেখানকার সরকার। ভাঙা হয়েছে হোটেল। এলাকা ছাড়ছেন সেখানকার বাসিন্দার। কেন এমন পরিস্থিতি হল, সরকারের ভূমিকা কী ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই উত্তরাখণ্ডে ফের ফাটল আতঙ্ক। যোশীমঠের পর এবার ফাটল ধরল উত্তরাখণ্ডের আরও দুটি জেলায়। নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে কর্ণপ্রয়াগ ও রুদ্রপ্রয়াগে। বদ্রীনাথ ধাম যাওয়ার পথে এই দুই জেলাতেও একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেল প্রকল্পের কাজ চলার কারণেই ফাটল ধরছে আশেপাশের অঞ্চলে। ইতিমধ্যেই নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরিত হতে শুরু করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেরা।
পরিবেশবিদরা জানিয়েছেন, যোশীমঠের মতো পরিস্থিতি হতে পারে উত্তরাখণ্ডের পৌরি, বাগেশ্বর, উত্তরকাশী, তেহরি গারওয়াল ও রুদ্রপ্রয়াগের। ইতিমধ্য়েই রুদ্রপ্রয়াগের মারোদা গ্রামের একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। চামোলি জেলার কর্ণপ্রয়াগেও বহুগুণা নগরে একাধিক বাড়ি অসুরক্ষিত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঋষিকেশ-কর্ণপ্রয়াগ রেললাইনের যে কাজ চলছে, তার কারণেই ফাটল ধরছে আশেপাশের এলাকার বাড়িগুলিতে। তেহরি জেলার অটলি গ্রামের ভিতর থেকে রেললাইনের কাজ চলছে। পাহাড় কাটা শুরু করতেই গ্রামের একপ্রান্তে ভূমিধস নেমেছে, যার কারণে বেশ কিছু বাড়িতে ফাটল ধরেছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, গ্রামের অন্য প্রান্তে এখনও সুড়ঙ্গ তৈরির জন্য পাহাড়ে বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। এর জেরেও একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের কাছে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
