ফের আয়োজিত হতে চলেছে বৈঠক। আজ, ২রা জানুয়ারি আবাস যোজনা নিয়ে আবার আলোচনায় বসবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। গত ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যেই ১০০ শতাংশ বাড়ি তৈরির কাজের অনুমোদন করা নির্দেশ জেলাগুলিকে দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। সেই বিষয় নিয়ে সোমবারের পর্যালোচনা বৈঠকে সকাল থেকে জেলাগুলির সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করার কথা মুখ্য সচিবের। নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৮৯ শতাংশের সামান্য বেশি বাড়ি তৈরির প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জেলাগুলি। সেই বিষয় নিয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি চলতি আর্থিক বর্ষে এখনও পর্যন্ত ৫০ শতাংশ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়নি। সে বিষয় নিয়ে এদিনের বৈঠকে পর্যালোচনা করা হতে পারে। পাশাপাশি আরও কয়েকটি বিষয় নিয়েও এই দিনের বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার জন্য ইতিমধ্যেই জেলাগুলিকে রিভিউ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। গত সপ্তাহেই আবাস যোজনা নিয়ে জেলাগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। এদিনের বৈঠক থেকে তিনি ফের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরির সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রীয় গ্রামান্নোয়ন মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে প্রকল্প রূপায়ণের রূপরেখাও প্রস্তুত করে ফেলেছে নবান্ন।
পাশাপাশি, জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো এই রূপরেখায় পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে যে তালিকা মাফিক অর্থ বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গে ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে। এজন্য এখন থেকেই গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বাড়ি নির্মাণের জন্য ইটভাটা থেকে সরাসরি উপভোক্তাদের ইট সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও নির্মাণের জন্য অন্যান্য কাঁচামাল সরাসরি ডিলার বা সাপ্লায়ারের কাছ থেকে কেনার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নির্মাণের কাজ নজরদারি করতে ব্লক স্তরে কন্ট্রোলরুম চালু করতে হবে। যার লক্ষ্যই হল উপভোক্তাদের বাড়ি নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করা। প্রত্যেক মাসে ১০ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত আবাস সপ্তাহ করে এই নির্মাণের কাজে তদারকি করতে। উপভোক্তাদের মধ্যে গৃহহীনদের জন্য সরকারি জমি চিহ্নিত করণের কাজ বিএলএলআরওদের দ্রুত পরিকল্পনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজের অগ্রগতি ব্লক থেকে মহকুমা ও জেলাশাসক স্তরে নিয়মিত পর্যালোচনা করতে হবে। বরাদ্দ টাকা খরচের আগে বাড়ি ধরে ধরে জিও ট্যাগিং বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
