জেলা থেকে বিজেপিকে হারিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের জবাব দিতে হবে। শুক্রবার নলহাটির স্কুল মাঠে বিজেপির পালটা সভা থেকে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বিজেপির ট্রেনি রাজ্য সভাপতি একটা লাউডগাকে কেউটে বলে বাজারে ছাড়তে চাইছে। জেলা থেকে বিজেপিকে হারিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের জবাব দিতে হবে।’ অন্যদিকে, একই সভায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নলহাটির মাটি স্বাধীনতা সংগ্রামী দুকড়িবালার রক্তে গড়া। এখানে গদ্দারির কোনও জায়গা নেই। তাই যারা গদ্দার তাদের কোনও সমর্থন দেবেন না।’
গত মঙ্গলবার নলহাটি শহরের স্কুল মাঠের অর্ধেক অংশে মঞ্চ করে সারা জেলার লোক এনেও মাঠ ভরাতে পারেনি গেরুয়া শিবির। গতকাল সেই মাঠে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। জেলার সব নেতাদের সঙ্গে হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষ ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ভরা জনসভা থেকে তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দুর বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের অডিয়ো টেপ শুনিয়ে কর্মী সমর্থকদের সামনে কুণাল বলেন, কে গদ্দার? অনুব্রত মণ্ডলের জেলায় আসার পথে শুভেন্দু নাকি গুড় বাতাসা, নকুলদানা দেখতে পাননি বলে জানিয়েছিলেন। তাই কর্মী সমর্থকদের তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বলেন , ‘কোনও পাতলা গুড় বা ঝোলা গুড় নয়, একেবারে পাটালি, মোটা দেখে পাটালি তুলে রাখবেন।’
বিজেপিকে আগামী লোকসভায় ক্ষমতাচ্যুত করারও ডাক দেন কুণাল। বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই ২০২৪ সালে লালকেল্লায় বাংলার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাড়ি পরে দেশের জাতীয় পতাকা তুলছেন। তার জন্য তৈরি থাকুন।’ অন্যদিকে, ৩০ ডিসেম্বর দিনটি জনতাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ঋতব্রত বলেন, বাংলার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এদিনেই ১৯৪৩ সালে আন্দামান নিকোবরের সেলুলার জেলে ত্রিবর্ণ জাতীয় পতাকা তুলেছিলেন। এখনও সেই সংগ্রহশালায় ৫৮৫ জন দীপান্তরে থাকা বিল্পবীর নাম খোদাই করা আছে। যার মধ্যে ৩৯৮ জন বাংলার। যে তালিকায় শুভেন্দুর দল বিজেপির কোনও নেতার নাম নেই। বরং উলটে মুচলেকা দিয়ে বাঁচতে চেয়েছে তার দলের নেতারা।