তোলপাড় চলছিলই। এবার কার্যত মুখ পুড়ল মোদীরাজ্যের প্রশাসনের। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্রসসাকেত গোখলেকে বেআইনি ভাবে গ্রেপ্তার করেছিল গুজরাত পুলিশ, এই মর্মে একটি মামলা দায়ের করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গুজরাতের মোরবীর সেতুভঙ্গ নিয়ে একটি টুইটের জেরে ৫ই ডিসেম্বর মধ্যরাতে বিশিষ্ট আরটিআই কর্মী ও তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করেছিল গুজরাত পুলিশ। একটি আরটিআই-এর কপি সম্বলিত টুইট শেয়ার করে সাকেত দাবি করেছিলেন, মোরবীর সেতুভঙ্গের পর মোদীর গুজরাত সফরে খরচ হয়েছে ৩১ কোটি টাকা। কিন্তু এই তথ্যকে ভুয়ো বলে দাবি করে গুজরাত পুলিশ। বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপরাধে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূল মুখপাত্রকে। কিন্তু আদালতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে যান সাকেত। ছাড়া পাওয়ার পর ফের তাঁকে গ্রেফতর করা হয় অন্য একটি মামলায়। এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জামিন পান তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেই সময় গুজরাতে জারি ছিল আদর্শ নির্বাচন বিধি। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ছিল নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, নির্বাচন কমিশন বিজেপির ইশারায় অনৈতিকভাবে কাজ করছে। উল্লেখ্য, এর আগে তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের এক প্রতিনিধি দল কমিশনে গিয়ে একটি স্মারকলিপি জমাও দিয়েছিলেন। এবার সাকেত গোখলের গ্রেফতারি ‘বেআইনি’, এই অভিযোগে গুজরাত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। নিজে টুইটারে পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন সাকেত। “আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৩ সপ্তাহ আগে আমার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে গুজরাত পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। আমাকে যেভাবে জয়পুর থেকে আহমেদাবাদ কোনও ট্রানজিট রিমান্ড ছাড়াই নিয়ে গিয়ে বেআইনি হেফাজতে রাখা হয়েছিল তার বিরুদ্ধেই মামলা দায়ের করা হয়েছে”, জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র।
