আপাতত শীতের আমেজে মজে বাংলাবাসী। শুক্রবারও পনেরো ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে রইল শহর কলকাতার তাপমাত্রা। আগামী ২৪ ঘণ্টা এরকমই থাকবে আবহাওয়া। ফের সামান্য বাড়বে তাপমাত্রা। আপাতত শীতের আমেজ থাকবে। কলকাতায় পরিষ্কার আকাশ। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বিকালে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৩৪ থেকে ৮৮ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরের তাপমাত্রা থাকবে ১৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন দার্জিলিং, কালিম্পং এবং সিকিমে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিমে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের বাকি জেলায় কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই আগামী চার পাঁচ দিন। মূলত শুষ্ক আবহাওয়া জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমবে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর ফের হাওয়া বদল হবে রাজ্যে। যে উত্তর পশ্চিমের হাওয়ার প্রভাবে পারদ অনেকটাই নেমে গেছে, সেই উত্তর-পশ্চিমের হাওয়া আবার থমকে যাবে। ১ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। পরবর্তী কয়েকদিনে মাত্র দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে অনুমান। অর্থাৎ ১৪ ডিগ্রির ঘরে যে তাপমাত্রা রয়েছে সেই তাপমাত্রার ১৬ থেকে ১৭ ডিগ্রির মধ্যেই থাকবে বলে অনুমান আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
পাশাপাশি, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লীতে আগামী তিন-চারদিন ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানেও ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। আগামী দুদিন আসাম মেঘালয় মণিপুর মিজোরাম এবং ত্রিপুরাতেও ঘন কুয়াশা পড়বে। উত্তর পশ্চিমে রাজ্যগুলিতে আগামী কয়েক দিনে তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নেমে যাবে। এর প্রভাবে ২ ও ৩শে জানুয়ারি দুদিন শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা রয়েছে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের কিছু অংশে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে শীতল পরিস্থিতি। কোনও পরিবর্তন হবে না পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি তবে তারপর দুই থেকে তিন ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশে আগামী ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রার কোনো পরিবর্তন না হলেও তার পরের ৪৮ ঘন্টায় তাপমাত্রা ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি কমতে পারে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রকোপ কেটে গেলেই পার্বত্য এলাকার রাজ্যগুলিতে তুষারপাত হতে পারে, এমনই পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহবিদরা।
