কর্নাটকের ‘মারাঠি-বিরোধী অবস্থানের’ নিন্দা করে মঙ্গলবার একটি সর্বসম্মত প্রস্তাবনা পাস করল মহারাষ্ট্র বিধানসভা। এই প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, দুই রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় মারাঠি-ভাষী জনগোষ্ঠীর প্রতি ‘নিপীড়ন’ চালাচ্ছে এবং ‘অন্যায়’ করছে কর্নাটক সরকার। এর আগে, কর্নাটক বিধানসভায় এই বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা পাস হয়েছিল। যেখানে তারা সাফ জানিয়েছিল, ‘এক ইঞ্চি জমিও’ মহারাষ্ট্রকে ছাড়া হবে না। এই বিষয়ে আবেগকে উস্কে দেওয়ার জন্য মহারাষ্ট্রের প্রচেষ্টার নিন্দা করে, এই বিষয়টি ‘সমাপ্ত অধ্যায়’ বলা হয়েছিল। কিন্তু, বিষয়টির শেষ যে এত সহজে হবে না, তা এদিন মহারাষ্ট্র বিধানসভায় পাস হওয়া প্রস্তাবনা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ‘কর্নাটক সরকারের মারাঠি-বিরোধী অবস্থান এবং সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মারাঠি জনগণ যেভাবে বছরের পর বছর ধরে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মর্যাদা পাচ্ছে, নিপীড়ন এবং অন্যায়ের শিকার হচ্ছে, তার নিন্দা করে মহারাষ্ট্র’। কর্নাটকে অবস্থিত ৮৬৫টি মারাঠি-ভাষী গ্রামকেই মহারাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার কথাও বলা হয়েছে। এর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আইনি লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। বিধানসভায় এদিন ধ্বনি ভোটের মাধ্যমে এই প্রস্তাবনাটি পাস হয়।
কর্নাটকের ‘মারাঠি বিরোধী অবস্থানে’র নিন্দা করে প্রস্তাবনাটিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়ে মামলা চলছে। দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছে। তা সত্ত্বেও, গত ২২ ডিসেম্বর কর্ণাটক সরকার একতরফাভাবে একটি প্রস্তাবনা পাস করে দুই রাজ্যের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। কর্ণাটক সরকারের এই অবস্থান অগণতান্ত্রিক। মহারাষ্ট্র সরকার পূর্ণ শক্তি দিয়ে, আইনি পথে এই যুদ্ধ লড়বে। অমিত শাহের সভাপতিত্বে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করবে মহারাষ্ট্র।