হাতে আর বেশিদিন নেই। নতুন বছরেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেদিকে তাকিয়ে বছরের শুরুতেই সাংগঠনিক বৈঠক করতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। সমস্ত জনপ্রতিনিধি ও সাংগঠনিক পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক করবেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে বেশ কয়েকটি জেলা নজরে রাখার মতো। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে কিছু জেলাকে।
নদিয়াতে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল। ধারাবাহিক ভাবে এই জেলার সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব কথা বলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় দু’জনেই সভা করেছেন। সূত্রের খবর, রাণাঘাট সাংগঠনিক জেলায় তৃণমূলের দুর্বল সংগঠন নিয়ে ভাবতে হচ্ছে শাসক দলকে। দলের সাংগঠনিক বৈঠকে এই জেলায় বিষয়টি উঠবে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।
হুগলি গ্রামীন এলাকার মধ্যে বিশেষ করে আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুল, পুরশুড়া-সহ বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার একাংশে দলের তরফে বেশি করে নজর দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। ২০২১-এর নির্বাচনের এইসব এলাকার একাধিক বিধানসভা হাতছাড়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্বের নজরে রয়েছে জঙ্গলমহলও। মুখ্যমন্ত্রী প্রায় মাসখানেক আগেই সফর করেছেন। জঙ্গলমহলের দিকে তাকিয়ে সাংগঠনিক বৈঠকে এই এলাকাগুলির কথা উঠে আসতে পারে।
পাশাপাশি নজরে পূর্ব মেদিনীপুর। কুণাল ঘোষকে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রতিদিন নানা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এই জেলার জন্য বিশেষ ভাবনা রয়েছে তৃণমূলের। নজরে অবশ্যই থাকবে বীরভূম। অনুব্রত মণ্ডল এই জেলার সংগঠন সামলাতেন। কিন্তু তাঁর গ্রেফতারির জেরে এই জেলার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিতে পারে ঘাসফুল শিবির। পাশাপাশি তৃণমূলের সাংগঠনিক এই বৈঠকে প্রসঙ্গ উঠতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি নিয়ে। বিশেষ করে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির মতো জেলার কথা উঠে আসতে পারে।