বিধানসভা নির্বাচনের দু’মাস আগে ত্রিপুরায় পূর্ণাঙ্গ রাজ্য কমিটি ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। তৈরি করা হল ব্লক কমিটিও। স্টেট ইনচার্জ অর্থাৎ কমিটির দায়িত্বে রাখা হয়েছে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজ্যসভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস। নির্বাচনী কমিটিতে থাকছেন সুস্মিতা দেব ও আশিষ লাল সিং। নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত কমিটিও ঘোষণা হল আজ।
তৃণমূল সূত্রে খবর, সুবল ভৌমিক রাজ্য সভাপতি থাকাকালীন যারা দল থেকে সরে গিয়েছিলেন তাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর মধ্যে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ভাবে আশিষ লাল সিংহ আছেন। সব মিলিয়ে ১১১ জন স্থান পেয়েছেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটিতে।
ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আমবাসা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এবং ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাসের উপস্থিতিতে একদিন আগেই আমবাসায় মিছিল ও জনসভা করে ঘাসফুল শিবির। আমবাসা তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয়ের নিকট থেকে এক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলের পর এক জনসভারও আয়োজন করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শান্তনু সাহা-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
এই প্রসঙ্গে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস বলেছেন, ‘আজ আমবাসায় যুবকদের যে উপস্থিতি এবং উৎসাহ উদ্দীপনা, তাতে পরিষ্কার বিজেপি সরকার চলে যাচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গড়ার কারিগর হবে এবং আমি বিশ্বাস করি, বিজেপির পতন হচ্ছে। সরকার আমরা গড়ছি, আমরাই কারিগর হব’।