দাপটের সঙ্গেই ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ইংরেজ-বাহিনী। সোমবার প্রথম ম্যাচেই ইরানকে ৬-২ ব্যবধানে হারিয়ে দিলেন হ্যারি কেনরা। গোটা ম্যাচেই কর্তৃত্ব বজায় ইংল্যান্ড। তারুণ্যসম্বলিত দলটির মধ্যে বরাবরই আগ্রাসী মানসিকতা সঞ্চার করতে চেয়েছেন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ম্যাচের মধ্যেও দেখতে পাওয়া গেল সেই মনোভাব। ফুটবল বিশ্বকাপে এটাই ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভাল শুরু। এর আগে ১৯৮২ বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে ৩ গোল দিয়েছিল তারা। গত বছর ইউরো কাপের ফাইনালে ইটালির কাছে পেনাল্টি শুটআউটে হেরে খেতাব জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ইংল্যান্ডে। সেই ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেছিলেন বুকায়ো সাকা। বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে জোড়া গোল করে তিনি পরিচয় রাখলেন নিজের প্রতিভার। উজ্জ্বল রহিম স্টার্লিং, মার্কাস র্যাশফোর্ডরাও।
প্রসঙ্গত, এদিন ম্যাচের প্রথম দিকে দাপট দেখাচ্ছিল ইরান। শুরু থেকেই ইংল্যান্ড আক্রমণের ঝড় তুললেও ইরানের ডিফেন্ডাররা প্রাণপণে দুর্গ রক্ষা করছিলেন। কিন্তু গোলকিপার আলিরেজা বেইরানভান্দের চোট পাওয়া ইরানের আত্মবিশ্বাস কিছুটা হলেও কমিয়ে দেয়। সেই সুযোগটাই কাজে লাগায় ইংরেজরা। ৩২ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করেন জুড বেলিংহ্যামের। লুক শ-র ক্রস থেকে বল জালে জড়ান তিনি। দ্বিতীয় গোল আসে ৪৩ মিনিটে। কিয়েরান ট্রিপিয়ারের কর্নার থেকে হ্যারি ম্যাগুয়েরের হেড পেয়ে গোল করেন বুকায়ো সাকা। তৃতীয় গোল হয় দু’মিনিট পরেই। গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ডের পাস সরাসরি যায় হ্যারি কেনের কাছে। তিনি স্টার্লিংকে পাস দেন। স্টার্লিং ভুল করেননি গোল করতে। ম্যাচ দ্বিতীয়ার্ধেও বজায় থাকে ইংল্যান্ডের দাপট। ৬২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন সাকা। এর পর কিছু ক্ষণের জন্য ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল ইরান। একটি গোল শোধ করেন মেহদি তারেমি। কিন্তু ইংল্যান্ডের পরের দুই গোলে যাবতীয় প্রত্যাবর্তনের আশা পণ্ড হয়ে যায়। হ্যারি কেনের অসামান্য পাস পেয়ে মাঠে নামার এক মিনিটের মধ্যে গোল করেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে ষষ্ঠ গোল করেন জ্যাক গ্রিলিশ। শেষ দিকে অবশ্য ইরান আরও একটি গোল পায়। পেনাল্টি থেকে তাদের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন তারেমি। গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের পরবর্তী ম্যাচ আমেরিকার সঙ্গে। আর ইরান তাদের পরের ম্যাচ খেলবে ওয়েলসের বিরুদ্ধে।
