একা বেকারত্বে রক্ষে নেই। দোসর খাদ্যদ্রব্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি। আর এই দুয়ের সাঁড়াশি চাপেই বেহাল দশা দেশের অর্থনীতির। কিন্তু এ হেন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও দেশে বেকারত্ব কীভাবে কমবে, টাকার পতন কীভাবে থামবে, কোভিডের সময়ে দেশের যত মানুষ কাজ হারিয়েছিলেন তার মধ্যে কত জন কাজ ফিরে পেয়েছেন, ভোজ্য তেলের দাম কবে কমবে কিংবা বেসরকারি ক্ষেত্রে লগ্নি কত হয়েছে— কোনও প্রশ্নেরই উত্তর নেই মোদী সরকারের কাছে। অথচ এরপরেও কেন্দ্রের দাবি, ২০২৬ সালের মধ্যে ভারত ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁয়ে ফেলবে।
সোমবার সংসদের অর্থবিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকদের তুলোধোনা করেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও তৃণমূলের সাংসদরা। এমনকি সরকারপক্ষ, অর্থাৎ বিজেপি সাংসদেরও কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে গতকাল। কংগ্রেস সাংসদ মনীশ তিওয়ারি, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়েদের চোখা চোখা প্রশ্নে একপ্রকার নিরুত্তরই ছিলেন দেশের তাবড় তাবড় অর্থ বিষয়ক আধিকারিকেরা। বিরোধী সাংসদরা তো বটেই, খোদ বিজেপি সাংসদ সুশীল মোদীও আধিকারিকদের কড়া প্রশ্ন করেছেন বলেই সূত্রের খবর।
বৈঠকে হাজির ছিলেন নীতি আয়োগের সিইও পরমেশ্বরন আইয়ার, মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা, অর্থমন্ত্রকের সচিব এবং অর্থ বিষয়ক দফতরের সচিব। আলোচ্য বিষয় ছিল দেশের সার্বিক অর্থনীতির অবস্থা এবং ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির রোডম্যাপ তৈরি। সেখানে সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা বোঝানোর চেষ্টা করেন যে ‘বিশ্বের অর্থনীতির তুলনায় আমাদের দেশের অর্থনীতি ভাল অবস্থায় রয়েছে’। তবে দেশে বেকারত্ব কমবে বলে তাঁরা দাবি করতেই আধিকারিকদের চেপে ধরেন সৌগতরা। কীভাবে কমবে তা জানতে চাইলে তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি কেউই।
