নৃশংস ঘটনার সাক্ষী রইল বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশ। এক যুবক তাঁর পরিচিত দোকানদারের কাছ থেকে ধারে গুটখা কিনে খেতেন। দিনের পর দিন চলছিল এভাবেই। বাড়ছিল ধারের অঙ্ক। সেই টাকা মেটানোর দাবি করতেই বাদানুবাদ শুরু হয় দোকানদার ও সেই খদ্দেরের মধ্যে। ক্রমশ সেই বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়। শেষমেশ লোহার রড দিয়ে মারতে মারতে খদ্দেরের প্রাণই কেড়ে নিল দোকানদার! ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। মৃত যুবকের নাম সুভাষ। ২৪ বছর বয়সী ওই যুবক ললিতপুর কলোনির বাসিন্দা ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি এলাকার একটি দোকান থেকে নিয়মিত গুটখা কিনে খেতেন। দোকানি পরিচিত হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই টাকা না দিয়ে ধারে তাঁর থেকে গুটখা নিয়ে যেতেন ওই যুবক। ফলত, ওই দোকানে বকেয়া ছিল সুভাষের বেশ কিছু টাকা।
প্রসঙ্গত, পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বিগত কয়েকদিন ধরেই ধার শোধ করার জন্য সুভাষকে অনুরোধ জানাচ্ছিলেন দোকানদার। শনিবার ফের সুভাষ দোকানে এলে দু’পক্ষের মধ্যে এই নিয়ে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরিস্থিতি পরামর্শ উত্তপ্ত হতে শুরু করলে দোকানদার ফোন করে তাঁর ছেলেকে সেখানে আসতে বলেন। ছেলে সেখানে আসা মাত্রই একটি লোহার রড দিয়ে সুভাষকে পেটাতে শুরু করেন দু’জন। মারের চোটে রক্তাক্ত অবস্থায় সেখানেই লুটিয়ে পড়েন সুভাষ। এরপর তড়িঘড়ি এলাকার লোকজন সুভাষকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই কর্ণের দোকান থেকে ধারে গুটখা কিনে খেতেন সুভাষ। তার পাওনা মেটানো নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছিল কয়েকদিন ধরেই। শনিবার নাকি বিনামূল্যে গুটখা নিয়ে যাওয়ার দাবি করেছিলেন সুভাষ। তাতেই রাগ সামলাতে না পেরে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটাতে শুরু করে দোকানদার, এমনটাই দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত দোকানদার কর্ণ সিং যাদব এবং তাঁর ছেলে শচীনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ।