বাংলায় কার্যত ঘটে গিয়েছে শীতের আগমন। সম্প্রতি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কেটে যেতেই ঠাণ্ডার আমেজ অনুভব করছে রাজ্যবাসী। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলি, অর্থাৎ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। আগামী চার-পাঁচদিন সেখানে এই শীতের আবহ বজায় থাকবে। এদিকে আজ কুড়ির অনেকটাই নীচে নামল কলকাতার পারদ। রবিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাল থেকে তাপমাত্রা আরও কিছুটা নামতে পারে কলকাতায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন কুড়ির নীচেই থাকবে শহরের তাপমাত্রা। সবমিলিয়ে বলা যেতে পারে, আজ থেকেই শীত পড়ে গেছে কলকাতায়।হমনে করা হচ্ছে, আগামী দু-তিনদিনে জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ১৪-১৫ ডিগ্রিতেও নামতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বাংলার জেলাগুলিতে শীত যেমন বাড়বে, তেমনই পারদ পতন হবে উত্তরেও। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা চলে যেতেই উত্তর-পশ্চিমের শীতল ও শুষ্ক হাওয়ায় রাজ্যে শীতের শুরু হল বলাই চলে। বাতাসে জলীয় বাষ্প কমে যাওয়ায় এই আবহাওয়া আগামী কয়েকদিন বহাল থাকবে। অন্যদিকে আজ ফের নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এর ফলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টি ও তুষারপাতের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশে। আবার এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পূর্ব দিকে এলে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং সিকিমেও তুষারপাত হতে পারে। এছাড়াও বঙ্গোপসাগরে আবার নিম্নচাপের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগামী ১৬ নভেম্বর এই নিম্নচাপ দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরের সংযোগস্থলে অবস্থান করবে। এরপর সেটি আরও শক্তিশালী হয়ে তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে বলেই মনে করছে আবহাওয়া দফতর।