সাম্প্রতিক কালে বারবারই বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন একের পর এক বিজেপি বিধায়ক-সাংসদ। তবে শুধু বাংলাই নয়, সারা দেশ থেকে রাজ্য ভাগের কয়েক ডজন আবেদন পড়ে রয়েছে কেন্দ্রের ঘরে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভায় রাজ্য ভাগের প্রস্তাব পাশ না হওয়া পর্যন্ত সে বিষয়ে কেন্দ্রের বিশেষ কিছু করার থাকে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত রায় (মহারাজ) সম্প্রতি একাধিক বার বলেছেন, খুব দ্রুত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে কোচবিহার। দাবি করেছেন, তাঁকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এ নিয়ে নাকি প্রচারও করতে বলেছেন তাঁরা। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের একাংশের মুখেও বার বার শোনা গিয়েছে উত্তরবঙ্গের আলাদা রাজ্য হওয়ার কথা। অথচ দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সম্প্রতি একাধিক বার বলেছেন, রাজ্য ভাগ নিয়ে কোনও কথা এখনও পর্যন্ত ওঠেনি। তা নিয়ে কোনও নির্দেশও আসেনি দলের ‘উপর মহল’ থেকে।
এই পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে যখন ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, তখন শাহের মন্ত্রকের বক্তব্যকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতারাও বলছেন, দল ছোট রাজ্যের পক্ষে। কিন্তু রাজ্য ভাগের প্রশ্নে সেই রাজ্যের নেতৃত্ব এবং সর্বোপরি তার বৃহত্তর জনমানস কী চাইছে, তা দেখেই পদক্ষেপ করার পক্ষপাতী দল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য ভাগের বিষয়টি এ দিন খোলসা করার পরে অনন্ত রায় এবং স্থানীয় বিজেপি নেতারা কী বলেন, সে দিকে নজর থাকছে রাজনৈতিক মহলের।