বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনার চেষ্টার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। শুধু অভিযোগই নয়, তার স্বপক্ষে প্রমাণ হিসাবে একটি ভিডিওও দেখান তিনি।
আচমকাই সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। সেখানেই তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের দলের বিধায়ক কেনার চেষ্টা করার অভিযোগ করেন। একাধিক ভিডিয়োও পেশ করেন তিনি প্রমাণ স্বরূপ। তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির চারজন বিধায়কের কথা উল্লেখ করে কেসিআর দাবি করেন, বিজেপি এই চারজন বিধায়ককে কিনে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তাঁরা সেই ফাঁদে পা দেননি। বিধায়ক কেনাবেচার প্রায় এক ঘণ্টার গোপন ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে তাঁর কাছে, এমনটাই দাবি করেন কেসিআর। সাংবাদিক বৈঠকে পাঁচ মিনিটের একটি ভিডিও চালান তিনি।
গত সপ্তাহেই তেলঙ্গানার একটি ফার্মহাউসে বিধায়কদের গোপন বৈঠক ঘিরেই রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উথাল-পাতাল হয়েছিল। রাজ্য়ের উপ-নির্বাচনের ঠিক আগেই বিধায়ক কেনা-বেচা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসক দল টিআরএসের নেতা কে চন্দ্রশেখর রাও দাবি করেন, ফার্মহাউসের ওই বৈঠক আসলে বিধায়ক কেনাবেচারই চেষ্টা ছিল। বিজেপির প্রতিনিধিদের ‘ব্রোকার’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কর্নাটকে সরকার বদলের কথা বলতেল গিয়ে ওরা ২০ বার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম ও তিনবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর নাম উল্লেখ করেছিল’।
কেসিআর জানান, দেশকে বাঁচাতে ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে তিনি বিধায়ক কেনাবেচার চেষ্টার এই ভিডিয়োগুলি তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, হাইকোর্টের বিচারপতি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলির কাছে পাঠাবেন। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি শুধু তেলঙ্গানাই নয়, অন্ধ্র প্রদেশ, দিল্লি ও রাজস্থানের সরকার ফেলার চেষ্টা করছে।