গত বছর ডিসেম্বর থেকে টুইটারের সমস্ত শেয়ার নিজের নামে করে নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন তিনি। নানা টানাপোড়েনের পর এপ্রিলে ‘বেস্ট বাই’ অফার দিয়ে সমস্ত শেয়ার নিজের নামে করে নেওয়ার জন্য শেয়ার হোল্ডারদের রাজি করিয়ে ফেলেছিলেন। তবে টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল তাঁকে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে সঠিক তথ্য না দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন বলে অভিযোগ তুলে আচমকাই পিছিয়ে আসেন ইলন মাস্ক। অবশেষে বহু টালবাহানার পর অবশেষে টুইটারের মালিকানা পেয়ে গেলেন এই মার্কিন ধনকুবের। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে টুইটার চুক্তির আইনি জটিলতা মিটিয়ে ফেলেছেন মাস্ক। আর তারপরেই টুইটারের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও পরাগ আগরওয়াল-সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের ছেঁটে ফেলেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, মাস্ক হঠাত চুক্তি থেকে সরার চেষ্টা করতেই আদালতে গিয়েছিলেন টুইটার সিইও পরাগ আগরওয়াল। আদালতের নির্দেশ ছিল, শুক্রবারের মধ্যে টুইটারের সঙ্গে পুর্বতন চুক্তিমতো লেনদেন সম্পূর্ণ করতে হবে তাঁকে। সেই ডেডলাইনের কিছুক্ষণ আগে টুইটার কেনার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন মাস্ক। মোট ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি সম্পূর্ণ করতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে মাস্ককে। এই বিপুল অঙ্কের লেনদেন করার জন্য তাঁকে বড় অঙ্কের ঋণ নিতে হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে মাস্ক জানিয়েছেন কোম্পানি কেনার খরচ জোগান দিতে বিপুল কর্মী ছাঁটাইয়ের পথেই হাঁটবেন তিনি। এক ধাক্কায় ৭৫ শতাংশ কর্মীকে ‘পিঙ্ক স্লিপ’ ধরানো হবে বলে সহযোগীদের তরফে জানা গিয়েছে।