হাঁটছেন তিনি। কখনও দৌড়চ্ছেন। আবার কখনও জুতোর ফিতে বাঁধছেন। কখনও মায়ের পায়ে হাত দিয়ে জুতো পরিয়ে দিচ্ছেন। ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় প্রতিদিনই চমক দেওয়ার চেষ্টা রাহুল গান্ধীর। যেমন পদযাত্রার ৫০তম দিনে বাজনাদারদের সঙ্গে বাজালেন ঢোল। আবার ভারতীয় দলের ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক আজহারউদ্দিনের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে হাঁটলেন।
কংগ্রেস সভাপতি পদে মল্লিকার্জুন খাড়গের অভিষেক ও দীপাবলির জন্য তিনদিন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস। দিল্লিতে ফিরে খাড়গের হাতে দলের দায়িত্বভার তুলে দিয়ে ফের দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পা মেলালেন রাহুল। এদিন সকালে তেলেঙ্গানার মেহবুব নগর থেকে ৫০তম দিনের পদযাত্রা শুরু করে কংগ্রেস। ৫০ দিনে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানার ১৮টি জেলার প্রায় ১২০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে। রাহুল পুরো পথ হেঁটেছেন বলে জানান কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ।
তেলেঙ্গানায় ১১দিন পদযাত্রা চলবে বলেও জানান তিনি। সেখান থেকে মহারাষ্ট্রে ঢুকবে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। তবে এদিন হাঁটতে হাঁটতেই নারায়নপেট জেলার মাখতালে স্থানীয় বাজনা শিল্পীদের সঙ্গে সময় কাটান রাহুল। আচমকাই হাতে তুলে নেন ঢোল। গলায় ঢোল ঝুলিয়ে হাতে কাটি নিয়ে বাজনা শিল্পীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তা বাজানও। দুপুরে স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেন। তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। এরপরেই রাহুল অভিযোগ করেন, মোদী সরকারের জমানায় কৃষকদের দুর্দশা বেড়েছে। প্রতি বছর অভাবের তাড়নায় কৃষকরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। রাজ্যের শাসকদল টিআরএসকেও এর জন্য দায়ী করেন। অভিযোগ করেন, ‘কৃষকদের দুর্দশা লাঘব করতে টিআরএস সরকার ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৪ থেকে প্রায় সাড়ে ছ’হাজাক কৃষক এই রাজ্যে আত্মহতা করেছে। আসলে বিজেপি ও টিআরএস একই মুদ্রার দু’পিঠ। তাই কোনও সরকারই কৃষকদের জন্য ভাবে না’।