মোদী রাজ্যে মধ্যযুগীয় বর্বরতা! এবার নরবলির অভিযোগ উঠল গুজরাতে৷ গির সোমনাথ জেলার ধারা গির গ্রামের এক পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই পরিবারের ১৪ বছরের কিশোরীকে নবরাত্রিতে বলি দেওয়া হয়েছে, সংসারের মঙ্গলকামনায়৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, নবরাত্রি চলাকালীন গত ৩ অক্টোবর ওই পরিবার তাঁদের কন্যাসন্তানকে উৎসর্গ করেছে দেবতার পায়ে৷ কারণ তাঁদের বিশ্বাস ছিল, এতে পরিবারে অর্থ ও ধনসম্পদ বৃদ্ধি পাবে৷ এই রহস্যজনক মৃত্যু পঞ্চায়েতে নথিভুক্ত করানোও হয়নি৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মাঝরাতে বলি দেওয়ার পর পরিবারের খামারবাড়ি লাগোয়া জমিতে দাহ করা হয় কিশোরীকে৷
গির সোমনাথ জেলার পুলিশ সুপার মনোহর সিং জাদেজা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কিশোরীর রহস্যমৃত্যুতে অভিযুক্ত তাঁর বাবা মা৷ অভিযুক্তদের খামাবাড়ি থেকে ছাইয়ের নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ৷ করা হবে ফরেন্সিক পরীক্ষা৷ পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, জেরার সময় মৃত কিশোরীর বাবা ভবেশ আকাবারি বার বার তাঁর বয়ান পরিবর্তন করেছেন ৷ পুলিশ জানিয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষার ফল এলে এই ঘটনায় অনেক ধোঁয়াশা দূর হবে৷
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে ৬ মাস আগেও সুরাতে থেকে ওই কিশোরী পড়াশোনা করত৷ ওই শহরে ভবেশের ব্যবসাও ছিল৷ পরে অজ্ঞাত কারণে মেয়েকে স্কুল থেকে ছাড়িয়ে গ্রামে নিয়ে চলে আসেন ভবেশ৷ গ্রামে আনার পর মেয়েকে তিনি রেখেছিলেন খামারবাড়িতেই৷ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই আস্তানাতেই গত ৩ অক্টোবর বলি দেওয়া হয় কিশোরীকে৷ তার বাবা মায়ের বিশ্বাস ছিল, তাদের কন্যাসন্তান আবার বেঁচে উঠবে৷ সেই আশায় চার দিন ধরে মেয়ের দেহ সৎকার না করে রেখে দেওয়া হয়েছিল৷ শেষে আর কোনও আশা নেই বুঝে অল্প কয়েক জন পরিজনের উপস্থিতিতে দাহ করা হয় কিশোরীকে৷